S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist https://touhid.me This is the portfolio of S M Touhidul Islam! Wed, 04 Sep 2024 15:52:44 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7 https://touhid.me/wp-content/uploads/2022/11/Frame.png S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist https://touhid.me 32 32 Walton Inverna AC Review (Inverna Supersaver – 18H Plasma) https://touhid.me/walton-ac-review-inverna-supersaver-18h-plasma/ https://touhid.me/walton-ac-review-inverna-supersaver-18h-plasma/#respond Wed, 04 Sep 2024 10:22:26 +0000 https://touhid.me/?p=3748 বাংলাদেশের প্রধান এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে Walton অন্যতম।  বর্তমান বাজারে ওয়ালটনের কয়েক মডেলের এসি  রয়েছে।  এরমধ্যে WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-18H মডেলটি উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং দক্ষতার জন্য বেশ  আলোচিত। আজকের রিভিউতে, আমরা এই মডেলটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানব এবং এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি পর্যালোচনা করব। Walton WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-18H এয়ার কন্ডিশনারের সুবিধাগুলি ১। দক্ষতা ও কুলিং ক্যাপাসিটি এই এয়ার কন্ডিশনারটি […]

The post Walton Inverna AC Review (Inverna Supersaver – 18H Plasma) appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

বাংলাদেশের প্রধান এয়ার কন্ডিশনার ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে Walton অন্যতম।  বর্তমান বাজারে ওয়ালটনের কয়েক মডেলের এসি  রয়েছে।  এরমধ্যে WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-18H মডেলটি উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং দক্ষতার জন্য বেশ  আলোচিত। আজকের রিভিউতে, আমরা এই মডেলটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানব এবং এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি পর্যালোচনা করব।

Walton WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-18H এয়ার কন্ডিশনারের সুবিধাগুলি

১। দক্ষতা ও কুলিং ক্যাপাসিটি

এই এয়ার কন্ডিশনারটি ১.৫ টন ক্ষমতার এবং এর কুলিং ক্যাপাসিটি ১৮০০০ বিটিউ/ঘণ্টা। এটি দ্রুত কক্ষ শীতল করতে সক্ষম।

২। বিদ্যুৎ খরচঃ

এই এসির  Energy Efficiency Ratio (EER) 4.25 হওয়ায় বেশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ECO Mode এ 25/26 Temperature দিয়ে দিনের বেশীরভাগ সময় চালালেও মাস শেষে ১০০ ইউনিট বিল আসে আমার। 

৩। রোটারি ইনভার্টার কম্প্রেসার

Walton WSI-INVERNA (SUPERSAVER)-18H এয়ার কন্ডিশনারটিতে রোটারি ইনভার্টার কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে, যা ট্রান্সডিশনাল ইনভার্টার কম্প্রেসারের চেয়ে বেশি শক্তি সাশ্রয়ী।

৪। R-32 রেফ্রিজারেন্ট

এই এয়ার কন্ডিশনারটি পরিবেশবান্ধব R-32 রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করে, যা পরিবেশের ক্ষতি করে না।

৫। স্মার্ট নিয়ন্ত্রণ ( Walton AC APP Feature )

এই এয়ার কন্ডিশনারটি একটি অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্ট নিয়ন্ত্রণের সুবিধা দেয়। তাদের এপ দিয়ে আপনি যেকোনো জায়গা থেকে আপনার এয়ার কন্ডিশনারটি চালু/বন্ধ করতে পারবেন এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বাসায় বাইরে থেকে চাইলে ১০ মিনিট আগেই রুম ঠান্ডা করার জন্য এসি অন করে দেয়া যায়। কত ইউনিট বিদ্যুৎ বিল হল, কোন দিন কত ইউনিট কাটল সব তথ্যই পাওয়া যায়।

৬। মাল্টি মোড

এই এয়ার কন্ডিশনারটিতে টার্বো মোড, ইকো মোড, ড্রাই মোড, ফ্যান মোড, অটো অপারেশন, অটো রিস্টার্ট, কমফোর্ট কুলিং, এয়ার প্লাজমা, কিডস মোড, মোল্ড প্রুফ, হিডেন ডিসপ্লে, ফ্রস্ট ক্লিন, স্পিড সেটিং, টাইমার এবং স্লিপ মোড সহ বিভিন্ন মোড রয়েছে। এই মোডগুলো আপনার আরাম এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রয়োজন অনুযায়ী এয়ার কন্ডিশনারটি সেট করতে সাহায্য করে।

Smart Plasma এবং Plasma এই দুই মডেলের পার্থক্যঃ

WIFI এর সহায়তায় App দিয়ে একটা কন্ট্রোল করা যায় আর অন্যটা যায়না। এদের মাঝে দামের পার্থক্য ২ হাজার টাকা। আপনি যদি Non-Smart/Plasma কিনার পর সেটাকে Smart বানাতে চান তবে কাস্টমার কেয়ারে কল করে Smart Module লাগাতে পারবেন ২ হাজার টাকা দিয়ে। 

Inverter AC VS Non Inverter AC

মূলত সেসব যায়গায় একটানা দীর্ঘক্ষণ এসি চালাতে হয় সেখানে Inverter AC Recommended. অপরপক্ষে মসজিদ বা সেসব যায়গায় একটানা লাগেনা সেখানের জন্য উত্তম NON INVERTER। বাসার জন্য অবশ্যই Inverter AC নেয়ার চেষ্টা করবেন।

Why I Choose Walton AC?

মূলত Gree/Haier এসব বাদ দিয়ে Walton AC নেয়ার মুল কারণ Energy Efficiency। এছাড়ার তাদের সাপোর্ট বেশ ভালই। অভিযোগ দেয়ার ২ দিনের মাঝেই সমাধান করবে এমন Commitment থাকে। তাছাড়া কোন পার্টসের কিছুর সমস্যা থাকলে নিশ্চিতভাবে তাদের কাছে পাওয়া যাবে বলেই ধরে নেয়া যায়। ১ বছরের ফ্রি সার্ভিসিং এটা ভাল দিক। তাদের টোল ফ্রি নাম্বারে ফ্রিতেই সব সময় সাপোর্ট পাওয়া যায়।

কিনবেন কোথায় থেকে?

মূলত শোরুমে ১০-১২% ডিস্কাউন্ট দেয়। একটু রিকুয়েস্ট করলে অথবা পরিচিত থাকলে অনেক সময় ১২-১৫% ও পাওয়া যায়। এছাড়া অনলাইনে Pickaboo তে দেখতে পারেন, সেখানেও ভাল মুল্যছাড় থাকে। বর্তমান ১৫% চলছে – কাস্টমার কেয়ারে একটু জানালে অনেক সময় কিছুটা অতিরিক্ত মুল্যছাড়ও পাওয়া যেতে পারে সুযোগ থাকলে। 

The post Walton Inverna AC Review (Inverna Supersaver – 18H Plasma) appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/walton-ac-review-inverna-supersaver-18h-plasma/feed/ 0
23 Lessons in 2023 https://touhid.me/23-lessons-in-2023/ https://touhid.me/23-lessons-in-2023/#respond Wed, 13 Dec 2023 13:36:08 +0000 https://touhid.me/?p=3437 1. Perfect is the enemy of good! Perfectionist হতে গিয়ে আমরা অনেক কিছু শুরুই করিনা। পথে নামলেই পথ চিনা যায় – কোন কিছু শুরু করে দিলে ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে Process Maintain করতে থাকলে ঠিকই একসময় Standard Level এ চলে আসে সব। ✨ 2. Fear of failure & Overthinking about the past or future: ভুল/ব্যর্থতা […]

The post 23 Lessons in 2023 appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

1. Perfect is the enemy of good! Perfectionist হতে গিয়ে আমরা অনেক কিছু শুরুই করিনা। পথে নামলেই পথ চিনা যায় – কোন কিছু শুরু করে দিলে ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে Process Maintain করতে থাকলে ঠিকই একসময় Standard Level এ চলে আসে সব। ✨

2. Fear of failure & Overthinking about the past or future: ভুল/ব্যর্থতা না থাকলে তো সফলতা এতটা Glorify হতনা, তাইনা? ভুল হবে এই ভয় পাওয়াটা তাই অনর্থক। ভুল ত্রুটি নিয়েই জীবন। Life goes on and you have to move on by accepting the reality/failure! 😵‍💫

3. Consistency & Habit Building: একদিন ১২ ঘণ্টা কাজ করে ফাটায় দিলাম কিন্তু পরের দিনই আর এনার্জি কুলাচ্ছেনা এমনটা না করে প্রতিদিন Consistently ৫ ঘণ্টা কাজ করাটাই বেটার। Exercise থেকে শুরু করে যেকোন ভাল কিছুর Habit Build করতে Regularity Maintain করার বিকল্প নেই, হোক সেটা খুব অল্প সময়ের জন্য। যেকোন কিছু ৩ সপ্তাহ টানা করলে সেটার Habit Build হয়েই যায়। ✅

4. Growth Mindset/Fixed Mindset – Failure আসতেই পারে, আর হতাশ হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছুনা। তবে সেটা থেকে lesson নিয়ে Grow করার চেষ্টা করাই উচিৎ। দক্ষতা/জ্ঞান সবকিছুই উন্নতি করা সম্ভব Dedication/Effort দেয়ার মাধ্যমে। ☑️

5. Comfort zone – ছোট লক্ষ্যে পৌঁছে ইফোর্ট দেয়া বন্ধ করলে সেটা অনেকটা বিপদ বয়ে আনতে পারে। নিজেকে আর নিজের Ability কে Push করে Next Level এ নিয়ে যাওয়া উচিৎ সবসময়। Don’t get comfortable with yourself!

6. Dealing with Criticism – বিভিন্ন কায়দায় খোঁচা দেয়া মানুষ থেকে দূরে থাকা উচিৎ। Constructive criticism আমি পছন্দ করি তবে সেটারও তো কিছু System আছে। যে জিনিসটা চাইলেই ব্যক্তিগতভাবে বলা যায় সেটা পাবলিক প্লেস বা ফোরামে বলাটা অনুচিত। আমি নিজেও সাবধানতা অবলম্বন করি এই বিষয়ে।

7. Appreciate other: if you can listen to someone without judgement, that’ll be the best and most beautiful gift for that person! খুশিমনে নিজের অর্জন বা কিছু শেয়ার করলেন কাউকে। তখন যদি এপ্রিসিয়েট না করে বরং উক্ত ব্যক্তি নিজের অর্জনকে হাইলাইট করে – এটা আমি ভাল চোখে দেখিনা। There will always be some negative energy and negative people around you!

8. Profession and Money: নিজের প্রফেশনকে ছোট দেখানো অনুচিত। আপনার জীবিকা নির্বাহের জন্য, আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য, যে কোন সৎ উপায়ে উপার্জনই আনন্দের, গর্বের এবং সম্মানের। জীবনে টাকার ভুমিকা অনেক তাই টাকা ম্যাটার করেনা এসব ফালতু কথা বলে লাভ নাই। দিনশেষে আপনি যাই করেন না কেন, এই টাকাকে Output হিসেবে পাওয়ার জন্যই করেন। নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে টাকা আয়ের অবশ্য স্বার্থকতা নেই। 💵

9. Nature of people– আজীবন উপকার করে একদিন উপকার করতে না পারলেই আপনার বিরুদ্ধাচরণ করবে মানুষ, এটা মেনে নিয়ে উপকার করবেন। অবশ্য নিজেকে খুব বেশী সস্তা/affordable বানাবেন না, পারলে Exclusivity টা বজায় রাখেন। নিজের Value টা কিছু যায়গায় একটু বুঝাতে হয় নইলে কিছুটা সমস্যা পোহাতে হবে। কখনো ফ্রিতে যেচে কাউকে জ্ঞান দিবেন নাহ, না চাইলে।

10. Self Judgement is important: প্রতিদিন ১০ মিনিট বা সেটা না পারলে সাপ্তাহিতভাবে নিজে নিজেকে কিছুক্ষণ সময় দিন আর self questioning করুন। আপনার কমতি, ভুল, কিভাবে শুধরানো যাবে অনেক কিছুই বুঝে যাবেন। আপনার চেয়ে আপনাকে বেশী কেউ বুঝেও নাহ – এটা মাথায় রাইখেন।

11. Nothing is permanent: জীবনটা খুব যে ছোট তাও কিন্তু নয়! তবে এখানে নিজের/অন্যের স্বার্থে বা সময়ের প্রয়োজনে অনেকে আসবে আবার চলেও যাবে। ফার্স্ট ইয়ারের সেই কাছের বন্ধুটা হয়তো আপনার সাথে ভালভাবে কথাও বলেনা – এগুলাতে মাইন্ড খাওয়ার কিছুনাই। তারা তাদের Role Play করেছে। আর খুব কম সম্পর্ক Static থাকে!

12. Logical thinking এ অভ্যস্ত হতে হবে। Emotion/Sentiment থাকা ভাল তবে সেটা Backed by Reasoning থাকাটা প্রয়োজন। Sherlock Holmes এর ফ্যান আমি সেখানে শার্লক বলেছিলঃ ‘Sentiment is a chemical defect found in the losing side’’ – আমিও এটা বিশ্বাস করি।

13. Invest in your skill – নিজের স্কিল বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সেটা বই কিনে হোক, কারো কোর্স কিনে হোক, বা যেভাবেই সম্ভব! Social Media Consumption একটু কমাতে হবে নইলে সময় নষ্ট কন্ট্রোল করা বেশ মুশকিল। 💼

14. সবাই আপনার ভাল চায়না এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। কিছু মানুষ চাইবেনা আপনি উন্নতি করেন। আপনার কাজ হচ্ছে এদের হতাশ করা। পাশাপাশি আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা যেন তিনি এসব মানুষের বদনজর থেকে আমাদের নিরাপদ রাখেন। 😇

15. Don’t make everything Public: অনেক জিনিসই একান্ত নিজের কাছে রাখাই উচিৎ।

16. Maintain To-do list/ Diary writing – Todo List এর জন্য নোটবুক/whiteboard ব্যবহার করা উচিৎ। সাপ্তাহিক/দৈনিক ডায়েরি লিখার অভ্যাসটা কিন্তু বেশ ভালই। 📔🖋️

17. Knowledge Gain through Books: বই পড়া সবসমই গুরুত্বপুর্ণ। একজন লেখকের আহরিত জ্ঞানের একটা রুপরেখা পাওয়া যায় তার প্রকাশিত বইয়ে। বায়োগ্রাফি পড়া বেশ ভাল হতে পারে, আমি নিজেও চেষ্টায় আছি বই এ বেশী সময় দিতে। ফিজিক্যাল বই পড়ার ধৈর্য্য না থাকলে Blinkist এপ থেকে Audio/Text Summary শুনে/দেখে নিতে পারেন। (এই ব্যপারে আরো জানতে আমাকে মেসেজ দিতে পারেন) 📚

18. Day off/Vacation: যেকোন প্রফেশন বা স্টুডেন্ট লাইফ যাই হোক সপ্তাহে একটা দিন পুরোপুরি ছুটি নেয়া উচিৎ। জীবনে চলার পথে Burnout Time চলে আসে অনেক সময় – Mental Downtime এ কিছুদিন তখন ছুটি নেয়া প্রয়োজন। Creative/Brain ব্যবহার করা লাগে এমন কাজে বেশী চাপ দিলে Maximum Output আসা সম্ভব নাহ – বরং সব বিচ্ছিরি স্টাইলে কলাপ্স হতে পারে। 😊

19. Ethics/Personality আপনার মনে হতেই পারে যে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে অনেকে সুবিধা পাচ্ছে। তবে নিজের কাছে Ethics & Personality Maintain করে চলার মাঝে মানসিক তৃপ্তি আছে। অনেক মানুষকে বড় বড় কথা বলতে দেখছি তবে সুযোগ পাওয়া মাত্রই শুধু টাকার লোভে Unethical কাজ করেছে। আল্লাহ আমাকে সহ সবাইকে এসব থেকে দূরে রাখুক এটাই দোয়া করি। 🌟

20. সবার সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা সম্ভব নাহ। সবার চিন্তা ধারা আপনার মত হবেনা। তবে তার মানে এই না যে খারাপ সম্পর্ক রাখতে হবে। সাংঘর্ষিক দিকগুলা এড়ায় চলা উচিৎ। 🟩

21. Show off is necessary sometimes! আমি সবার সাথে মিশতে পারি বেশ সহজেই – সেটা বয়সে অনেক ছোট বা বড় হোক, ধনী কিংবা গরীব! অতিরিক্ত Down-to-earth হয়ে চলা বা সবাইকে সন্মান প্রদর্শন করাটা অনেকে দুর্বলতা মনে করে।Materialistic জিনিস কিংবা Attitude দিয়ে নিজের Level কিছু অংশে ঠিক রাখাটাও প্রয়োজন। Don’t Judge a Book by its Cover বললেই তো হয়না, কেননা প্রাথমিক অবস্থায় উক্ত কাভার দিয়েই বইটাকে বিবেচনা করতে হয়। 🌟

22. Identify ungrateful People: এটা গুরুত্বপুর্ণ। অনেক সময় দেখবেন নিজেদের কাছের মানুষরাই এমন বেশী। তবে তাদের জীবন থেকে Delete করা না গেলেও Ignore করা সম্ভব। ❎

23. আপনার ব্রেইন সব কিছু মনে রাখার জন্য নাহ
, এটা গুরুত্বপুর্ণ কাজ করার জন্য। তাই Physical/Digital Notebook ব্যবহার করেন। পারলে Google Calender/Sticky Notes/Alarm/Reminder এসব ব্যবহারে অভ্যস্ত হন। 📝📅

The post 23 Lessons in 2023 appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/23-lessons-in-2023/feed/ 0
কুড়িগ্রামে আমার পছন্দের কিছু রেস্টুরেন্ট এবং খাবার সমগ্র https://touhid.me/kurigram-famous-foods/ https://touhid.me/kurigram-famous-foods/#respond Mon, 09 Jan 2023 06:19:33 +0000 https://touhid.me/?p=3381 কুড়িগ্রাম এক অপরূপ জেলা, যেখানে কেবল মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যই নয়, সুস্বাদু খাবারেরও এক অফুরন্ত ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে। আজকের ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদের সাথে কুড়িগ্রামের কিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট এবং খাবার সম্পর্কে শেয়ার করবো যেগুলো আমার কাছে বেশ পছন্দের। রুপসী বাংলার মোগলাই আমার বেশ ভাললাগে। দাম পরবে ৫০ টাকা তবে মান সব মিলিয়ে ভালই লাগবে এটা মোটামুটিভাবে […]

The post কুড়িগ্রামে আমার পছন্দের কিছু রেস্টুরেন্ট এবং খাবার সমগ্র appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

কুড়িগ্রাম এক অপরূপ জেলা, যেখানে কেবল মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যই নয়, সুস্বাদু খাবারেরও এক অফুরন্ত ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে। আজকের ব্লগ পোস্টে আমি আপনাদের সাথে কুড়িগ্রামের কিছু জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট এবং খাবার সম্পর্কে শেয়ার করবো যেগুলো আমার কাছে বেশ পছন্দের।

  • রুপসী বাংলার মোগলাই আমার বেশ ভাললাগে। দাম পরবে ৫০ টাকা তবে মান সব মিলিয়ে ভালই লাগবে এটা মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। আগে বিজিবি ক্যান্টিনের মোগলাই এবং সসের ফ্যান ছিলাম তবে এখন মোগলাই এর মান বেশ খারাপ হয়ে গেছে। আর হ্যাঁ, মোগলাই খাওয়া শেষে ১৫ টাকা দিয়ে এখানকার স্পেশাল এক কাপ চা খেতে ভুইলেন নাহ। এখানকার গ্রিল আমার ভাল্লাগেনা, তাছাড়া আমি গ্রিলের খুব বড় ফ্যানও নাহ। ফালুদা/নান/হালিম ট্রাই করে দেখতে পারেন আর সকালে আসলে সিঙ্গাড়াও খেতে পারেন। খারাপ লাগবেনা। কুড়িগ্রামে এদের সিঙ্গারা আমার ভাল লাগে সব থেকে, ভিতরে সামান্য একটু খাসির কলিজা পাবেন 😛

  • উলিপুরের মাংসের চপ এবং ক্ষীরমোহন বেশ প্রসিদ্ধ। সেখানে গেলেই এই দুইটা জিনিস ট্রাই করতে ভুইলেন নাহ। পাবনা হোটেল বা পাশেই ওকে হোটেলে দুইটা আইটেমই পাওয়া যায়। তবে রিকমেন্ডেড হচ্ছে পাবনা হোটেল কারণ ক্ষীরমোহনের জন্য তারাই সম্ভবত বিখ্যাত। তাদের শাখা আছে কুড়িগ্রামের শাপলায় – পাবনা মিষ্টান্ন ভান্ডার। 
  •  কলেজ মোড়ের বগুড়া হোটেলে পুড়ি অত্র কুড়িগ্রামের মাঝে বেশ প্রসিদ্ধ বলা যায়। দাম বেড়ে ৭ টাকা হলেও ছোট্ট ঐ দোকানে ভিড় সবসময়ই লেগেই থাকে। সাথে চাইলে রসমালাই নিতে পারেন, এখানকার রসমালাইটাও বেশ ভাল লাগে। মিষ্টিজাতীয় জিনিস খেলে চা ভাল্লাগবেনা তবে এই দোকানের চা টাও খারাপ নাহ 😛

  •  Zaman INN(খলিলগঞ্জে) এ যাওয়া হয়নি তাই খুব বেশী কিছু বলতে পারছিনা তবে ভাল পরিবেশে কিছু খেতে চাইলে এখানে যেতে পারেন। নাচোস/থাই সুপ ইত্যাদির বেশ প্রশংসা শুনেছি লোকমুখে। সময় সুযোগ করে সামনে যাব ইনশাআল্লাহ্‌, তখন আমার অভিজ্ঞতাটাও এড করে দিব সম্ভব হলে।

  •  ধরলার পাড়ে খড়কূটো রেস্টুরেন্টে বেশ কিছু আইটেম ট্রাই করেছি। চিকেন চাপ/ফালুদা/ফ্রাইড রাইস ইত্যাদি। এরা হাল্কা দাম বেশী রাখে তবে ওভারল খারাপ বলার মতনা। ধরলার পরিবেশে নদীর কাছে বসে খেলে সব কিছুই ভাল্লাগবে। আর ব্রিজ পার হয়েই সাইডের দোকানগুলোতে চা এবং চপ ট্রাই করতে পারেন তবে খুব বেশী জোশ হবে এমন নাহ। 
  •  ত্রিমোহনীর কালাম ভাইয়ের চটপটি আমার কাছে সবসমই সেরা ছিল এবং সেরা থাকবে। কুড়িগ্রামের যেকোন স্ট্রিট ফুডের চেয়ে এখানকার চপ আইটেমগুলা সেরা! আর তিনি খুব সম্ভবত ভাল মানের তেল ব্যবহার করেন। চটপটি কিংবা স্ট্রিটফুড আইটেম ভাল লাগলে, আমি অবশ্যই রিকমেন্ড করব এখানে একদিন হলেও খেতে। চটপটি ১৫-২০-৩০ টাকার বাটিতে পাওয়া যায় এবং চপগুলা ৫ টা পিস। কালাম ভাইয়ের চটপটি দোকান সাধারনত সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। 

     

  • পুরাতন বাজারে সমবায় মার্কেট পার হয়েই মৌচাক হোটেলে ১-৭ টাকার কিছু আইটেম পাওয়া যায় যেমন ছোট পুড়ি/সামুচা/সিংগারা/পিয়াজু। এসব বেশ ভালই লাগে। আর এখানকার স্পেশাল আইটেম হচ্ছে ছোট খুরমা এবং জিলাপী (কুড়িগ্রামে বেস্ট- তবে দামটা কিছুটা বেশী রাখে)। ১ টাকার দোকান হিসেবেই পরিচিত এটি।

  • ঝন্টুর দোকানের পুড়ি আর আলুর ডাল বেশ প্রসিদ্ধ অনেক আগে থেকেই। আগে তো অবশ্যই সেরা ছিল তবে এখন পুড়ির মান কিছুটা ড্রপ করেছে বলে মনে হয় আমার কাছে। তবুও মাঝে মাঝে ট্রাই করি আর আপনারাও ট্রাই করতে পারেন। 😛 

  • SS Pump এর সামনে মীম হোটেল বিখ্যাত তাদের ১৪০ টাকা প্যাকেজের জন্য। গরুর মাংস/অনেক ধরণের ভর্তা ভাজি আর আনলিমিটেড ভাত/ডাল। দুপুরে বেশ ভিড় থাকত, এমনকি সিরিয়াল দিয়ে বসে খেতে হত। তবে এখন দোকানের স্পেস বড় করেছে তাই এই ঝামেলায় পরতে হবেনা আর।

     

  •  ভোকেশনাল মোড়ের স্বপ্ননীল ফুচকা হাউজের ফুচকার মান কুড়িগ্রামে আনবিটেবল। আমার প্রিয় দই ফুচকা। তবে ঝাল ফুচকাও খারাপ নাহ। ফুচকা লাভারস কেউ থাকলে এটা মিস করা উচিৎ হবেনা! এছাড়াও তারা নতুন কিছু আইটেম সংযোজন করেছে যেমন লুচি/চিকেন চাপ ইত্যাদি। আর দোকানের ডেকোরেশনও বেশ সুন্দর করেছে!

  •  ঠান্ডা দিনে ভাপা পিঠা ট্রাই করতে চাইলে অবশ্যই ভোকেশনাল চলে আসবেন এবং তাদের স্পেশাল ২০ টাকা দামের ভাপাটা ট্রাই করবেন। উনার ভাপা আমি সেই ছোট বেলায় (১৫+ বছর হয়ে গেছে) এডভান্স কোচিং যেতে রেগুলা খেতাম। তখন থেকেই তাঁর ফ্যান আমি।

  • গুয়াতি পাড়ার চাচীর দোকানের চপের বেশ সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন ধরণের চপ/পিয়াজু পাওয়া যায় এখানে। ট্রাই করে দেখতে পারেন যদি স্ট্রিট ফুড/ভাজাপোড়া খেতে চান।

  • দাদামোড়েই একটি চপের দোকান আছে। সেখানে বিভিন্ন ধরণের চপ পাওয়া যায়। ট্রাই করতে পারেন। চপ ছাড়া অন্যান্য আইটেম যেমন চটপটি পাওয়া যায় তবে সেগুলা একদমই ভাল লাগেনি আমার কাছে। 

  • বগুড়া হোটেল (সুপার মার্কেটের ভিতর)- তাদের সকালের খিচুড়িটা বেশ ভাল হয়। তবে ৮ টার পর গেলে আর স্টকে থাকেনা। হেহে। এছাড়াও তাদের পুড়ি/ডাল ভাল্লাগে। আর ২য় তলায় তাদের Well-decorated রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে নান/হালিম সহ গ্রিল/বিরিয়ানী পাওয়া যায়। বিরিয়ানি ভাল্লাগেনাই তাদের তবে নান/হালিম ভালই লেগেছে আমার কাছে।

  •  ইসলামী ব্যাংকের নিচে শীতকালে চিতুই পিঠা পাওয়া যায় আর সাথে থাকে কয়েকধরণের ভর্তা। ১০ টাকার এই জিনিস তো মিস করার মতনা। ট্রাই করে দেখুন! তারা ভাপা পিঠাও বিক্রি করে তবে খুব একটা ভাল্লাগেনাই সেটা।

  • নতুন বাজারের গলিতে চপ/গুড়ের জিলাপির দোকান আছে তবে এগুলা আমার কাছে একদমই সুবিধার লাগেনা খারাপ তেলের কারণে। গুড়ের জিলাপি এখানে ছাড়া তেমন কোথাও সম্ভবত পাওয়া যায়না। তাই খুব খেতে ইচ্ছে করলে এসে ট্রাই মাইরেন। 

  •  বিরিয়ানী হাউজ সেভাবে ভাল নেই। তারপরও মাঝে মাঝে খেতে ইচ্ছে করলে নবাব এবং নান্না বিরিয়ানী হাউজে ঢুঁ মারতে পারেন। শাপলা বা কলেজ মোড়েই পেয়ে যাবেন। 

  • চা খেতে খেতে আড্ডা দিতে চাইলে কলেজ মোড়ের বাবুর দোকানের চা নিয়ে ফাকা যায়গাটাতে বন্ধুদের নিয়ে গল্প বা আড্ডা দিতে পারেন। আমি নিজেও শেষ বিকেলে বা সন্ধ্যায় প্রায় নিয়মিতই সেখানে এক কাপ চা খাই। সেখানকার চা যে বানায় তিনি আর্জেন্টাইন ফ্যান হওয়ায় আমার চায়ে বেশী দুধ দেন একটু তাই প্রমোট করলাম। বলতে পারেন এটা পেইড প্রমোশন। হেহে। আর রং চা খেলে কলেজ মোড়েই সনজিত দাদার সেলুনের পাশের দোকানে চা খেতে পারেন/আদা দিয়ে ভাল ভাবেই চা খাওয়ান।
  •  স্পেশাল মেনশন দিতে চাই এরশাদুল ভাইকে। স্টেডিয়ামের স্তুম্ভের পিছনে উনার দোকান ছিল। সেই ২০১২-১৩ এর দিক থেকে রেগুলার চা খাইতাম। প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার আগে বা পরে ঢু মারতাম আর বন্ধুদের সাথে জম্পেশ আড্ডা হত। তাঁর চা নিঃসন্দেহেই কুড়িগ্রামের সেরা চা ছিল। কিন্তু এখন তাঁর সেই দোকান আর নেই। 

কুড়িগ্রামের রেস্টুরেন্ট আর খাবারের দোকানের তালিকা অনেক বিশাল। এই পোস্টে শুধু আমার কিছু পছন্দের জায়গা নিয়ে লিখলাম। আপনার মতামত বা পছন্দের কোনো জায়গা থাকলে, কমেন্টে লিখতে পারেন। কুড়িগ্রাম সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইটটি (kurigram.info) ভিজিট করতে পারেন। আশা করি, এই তথ্য আপনাদের কাজে লাগবে। কুড়িগ্রামে এসে সুন্দর সব জায়গা ঘুরে দেখার পাশাপাশি, এখানকার মজাদার খাবারও উপভোগ করবেন।

The post কুড়িগ্রামে আমার পছন্দের কিছু রেস্টুরেন্ট এবং খাবার সমগ্র appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/kurigram-famous-foods/feed/ 0
Book Review: Steal Like an Artist https://touhid.me/review-steal-like-an-artist/ https://touhid.me/review-steal-like-an-artist/#respond Sun, 11 Dec 2022 05:59:01 +0000 https://touhid.me/?p=3363 অধিকাংশ Idea সাধারণত একদম Unique বা Original হয়না। আমরা মুলত একটি Concept এর Essence নিয়ে সেটাকে Modify করে বা কিছু যোগ করে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি। কয়েকটা Source থেকে Analysis করে যদি একটা জিনিস নতুনভাবে উপস্থাপন করেন তবে সেটা Better এবং তথ্যসমৃদ্ধ হওয়ার Chance কিন্তু অনেক বেশী!  ‘Every new idea is just a mashup or […]

The post Book Review: Steal Like an Artist appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

অধিকাংশ Idea সাধারণত একদম Unique বা Original হয়না। আমরা মুলত একটি Concept এর Essence নিয়ে সেটাকে Modify করে বা কিছু যোগ করে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি। কয়েকটা Source থেকে Analysis করে যদি একটা জিনিস নতুনভাবে উপস্থাপন করেন তবে সেটা Better এবং তথ্যসমৃদ্ধ হওয়ার Chance কিন্তু অনেক বেশী! 

‘Every new idea is just a mashup or remix of one or more previous ideas.  Everything that needs to be said has already been said but since no one listening, everything must be said again! ”

আমাদের চিন্তা ভাবনা, আচরণ সবই কিন্তু কারো থেকে  বা পারিপার্শ্বিকতার কারণে প্রভাবিত হয়। Education জিনিসটা শুধুমাত্র যে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়েই শিখতে হবে এমন কিন্তু নাহ, প্রতিটি পরতে পরতে শিখা সম্ভব, সেটা যেকোন পেশা বা শ্রেণীর মানুষের কাছে হতে পারে। যেহেতু আশেপাশের মানুষের মাধ্যমেই আপনি প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী, তাই আপনার উচিৎ খুব সতর্কতার সহিত বন্ধু নির্বাচন করা। এছাড়াও Virtual জগতে কাকে FOLLOW করছেন বা Social Media তে কি CONSUME করতেছেন এটাও গুরুত্বপুর্ণ।

‘There is an economic theory out there that if you take the incomes of your five closest friends and average them then resulting number will be pretty close to your own income. You are only going to be as good as the stuff you surround yourself with. ‘

“If you ever find that you are the most talented person in the room, you need to find another room.”

Idea হুট হাট করেই চলে আসতে পারে তাই এই বইয়ে Notebook/Pen সাথে রাখতে বলা হয়েছে। আপনার Thoughts এবং Unique idea আসলেই সেটা Phone এর Notebook এ কিংবা সরাসরি কোথাও লিখে Recorded রাখতে হবে। ”In the digital age, don’t forget to use your digits. Your hands are the original digital device.” – এই কথাটা আমার ভাল্লাগছে। খুব বেশী Digital হতে গিয়ে আবার যেন Effectiveness না হারায়।  আর কোন কিছু অর্জন করতে চাইলে সেটা নিয়ে Basic Analysis করা যেতেই পারে তবে বেশী ঘাটাঘাটি করতেই আমরা অনেক সময় নষ্ট করে ফেলি। তাই দ্রুত Execute করে TRY করতে হবে সেটি। এই বিষয়ে KLEONE ”Fake it until you Make it” – এই theory follow করতে বলেছেন। কোন কিছুর Preparation নিতে হলে ধরে নেয়া উচিৎ যে এটা আমার মাধ্যমেই সম্ভব। আগেই যদি MOTIVATION হারায় ফেলেন তাইলে তো বিপদ! এটাই Mean করা হয়েছে আসলে। 

Those who do not want to imitate anything, produce nothing. 

Stealing is an art. You just need to find who to steal and what to steal.

লেখক Digital এবং Analog দুইটা Desk ব্যবহার করতেন। এই বিষয়টি দিয়ে উনি Balancing করাকে বুঝিয়েছেন। এই বিষয়ে আমিও একমত। এখন আমি নিজেও Note/TO DO এসবের ক্ষেত্রে ডায়েরীকেই প্রাধান্য দেই। এবং লিখে রাখার মাঝে একটা ভাল FEEL ও হয়, এছাড়া তখন BRAIN আরো সুন্দরভাবে ভাবতে পারে লিখার সময়। উনি Productive Procrastination এর কথা বলেছেন। 

”Creative People need time to just sit around and do nothing. I get some of my best ideas when I’m bored. ”
”Avoiding work is the way to focus my mind.” 

Passion একটাই থাকতে হবে এমন কিন্তু না। বরং সেগুলা প্রতিটাই TRY করে দেখা উচিৎ। আর সব সময়ই PROACTIVE না থেকে বরং নিজেকে JUDGE করতে হবে এবং নিজের নেয়া সিদ্ধান্তগুলোকে পর্যালোচনা করতে হবে। 

If you have two or three real passions, don’t feel like you have to pick and choose between them. Don’t discard. Keep all your passions in your life. 

”You can’t connect the dots looking forward, you can only connect them looking backwards. ”- স্টিভ জবস

সব সময় একদম নিজের SPECIALITY একদম আগা-গোড়া শিখাইতে নাই। SPECIAL RECIPE কাউকে শেখাতে নেই। হ্যাঁ অবশ্যই DOTS গুলোকে Share করা যেতেই পারে/Glimpse গুলা মানুষ জানুক তাতে সমস্যা নেই। তবে সেই DOTS গুলোকে কানেক্ট করে একদম PROCESS সহ সবাইকে না শেখানোই উচিৎ। 

Share your dots but don’t connect them. 

সবসময় COMFORT ZONE এ থাকতে নেই। এজন্য উচিৎ মাঝে মাঝে নিজেকে PUSH করা এবং Comfort Zone এর বাইরে নিয়ে যাওয়া তাহলে নিজের POTENTIALITY অনুযায়ী সর্বোচ্চ OUTPUT আসতে বাধ্য। 

Distance and difference are the secret tonic of creativity.

Money Management নিয়েও কিছু বলা হয়েছে। টাকা আয়ের চেয়ে ধরে রাখাটা কঠিন এবং সেটা আসলেই সত্যি। আর অযথা ঋণ থেকে মুক্ত থাকাই ভাল। EMI/Credit Card দিয়ে অযথা অদরকারী বা কম দরকারী জিনিসপত্র না কেনাই উত্তম। কেনার পুর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে আসলেই জিনিসটা দরকারী কিনা। 

এছাড়াও নিয়মিত কি কি করতেছেন সেটার TRACE রাখা উচিৎ। Calender/To do list এসবের সাথে আমি SELF JOURNALING করতে বলব। এগুলা খুবই Effective যদিও আমি নিজেও খুব একটা Maintain করতে পারছিনা এখন অব্দি।  

এখন Resource এর অভাব নাই। তাই বলে সব কিছুই দেখতে হবে, সব কিছুই করতে হবে, সবাইকেই FOLLOW করতে হবে এমনটা না। কি কি AVOID করবেন এটাও কিন্তু গুরুত্বপুর্ণ জিনিস। 

Creativity isn’t just the things we choose to put it, it’s the things we choose to leave out. 

The post Book Review: Steal Like an Artist appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/review-steal-like-an-artist/feed/ 0
নাটোর ও রাজশাহী ভ্রমণ অভিজ্ঞতা https://touhid.me/natore-rajshahi-tour/ https://touhid.me/natore-rajshahi-tour/#respond Thu, 27 Jan 2022 07:35:23 +0000 https://touhid.me/?p=1863 অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে নাটোর এবং রাজশাহীতে একটু ঢুঁ মেরে আসার। কিন্তু সময় সুযোগ হচ্ছিল না সেভাবে। সব কিছু ব্যাটে বলে মিলার অপেক্ষা না করে বন্ধু রাকিবের সাথে দু’দিনের ঘুরার পরিকল্পনা নিশ্চিত করলাম। খুব যে সুন্দর এবং গুছানো প্ল্যান ছিল সব কিছুর তা নাহ। যা হবে দেখা যাবে নীতিতে ২১ জানুয়ারী, শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে চেপে […]

The post নাটোর ও রাজশাহী ভ্রমণ অভিজ্ঞতা appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে নাটোর এবং রাজশাহীতে একটু ঢুঁ মেরে আসার। কিন্তু সময় সুযোগ হচ্ছিল না সেভাবে। সব কিছু ব্যাটে বলে মিলার অপেক্ষা না করে বন্ধু রাকিবের সাথে দু’দিনের ঘুরার পরিকল্পনা নিশ্চিত করলাম। খুব যে সুন্দর এবং গুছানো প্ল্যান ছিল সব কিছুর তা নাহ। যা হবে দেখা যাবে নীতিতে ২১ জানুয়ারী, শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে চেপে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

ট্রেন ৩০ মিনিটের মত বিলম্বে ছাড়লেও সঠিক সময়েই নাটোর স্টেশনে পৌঁছাই ১২ঃ৩০ এর দিক। স্টেশন থেকে অটোতে মাদ্রাসা মোড়ে নেমে পরি এবং নাটোরের বেশ নামকরা পচুর হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। এর পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে উত্তরা গণভবনের দিক রওনা দেই।

উত্তরা গণভবন - দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী
উত্তরা গণভবন – দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী

উত্তরা গণভবনের আসল নাম দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি যা আঠার শতকে নির্মিত হয়। ১৯৭২ সালে শেখ মুজিব এটির নামকরণ করেন উত্তরা গণভবন যা এখন উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস হিসেবে ব্যবহূত হয়। রিক্সায় চড়ে শহরের বিভিন্ন স্থাপনা দেখতে দেখতে উত্তরা গণভবনে পৌছে গেলাম। ২০ টাকা মুল্যের টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকলাম।

Uttara Ganavaban
Uttara Ganavaban

বেশ অনেকটা যায়গাজুড়ে বিস্তৃত তৎকালীন এই রাজবাড়ীটি। প্রসাদের চারপাশে বেশ কয়েকটি পুকুর দেখেছিলাম। গোলপুকুর, পদ্মপুকুর, শ্যামসাগর, কাছারিপুকুর, কালীপুকুর, কেষ্টজির পুকুর নামে ছয়টি পুকুর রয়েছে, যদিও সবগুলো আলাদাভাবে সেভাবে ঘুরে দেখিনি। বেশ বড়সড় একটি গার্ডেন রয়েছে, রাজা নাকি গার্ডেন তৈরীতে যা যা লেগেছিল সেসব ইতালী থেকে এনেছিলেন।

প্রাসাদের এক সাইডে আবার একটি ছোট খাট চিড়িয়াখানা রয়েছে। সেখানে কিছু হরিণ/বানর/ময়ূরসহ বেশ কিছু পশু-পাখি রয়েছে। এটি আমাকে খুব বেশি না টানলেও উল্লেখযোগ্য এবং অসাধারণ লেগেছে উত্তরা গণভবনের সংগ্রহশালা।

এখানে রাজাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র রয়েছে যেমনঃ খাট/সিংহাসন/বাথট্যাব/তলোয়ার/আসবাবসহ অনেক কিছুই! এটা আমার কাছে বেশ লেগেছে, এখানে ঢুকতে গেলে অবশ্য এন্ট্রি ফি হিসেবে ৩০ টাকা দিতে হবে আলাদাভাবে।

যাহোক উত্তরা গণভবন ঘুরে রওনা দিলাম রানী ভবানীর রাজবাড়ীর দিকে। খুব দূরে নাহ, কাছেই অবস্থিত সেটি। পৌছেই টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম রাজপ্রসাদ ঘোরার জন্য ঘোড়ার গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।

রানী ভবানীর রাজবাড়ী
রানী ভবানীর রাজবাড়ী

১০০ টাকা চুক্তিতে পুরো রাজবাড়ীটি ঘুরে দেখলাম। রানী ভবানী ছিলেন ইংরেজ শাসনামলের নাটোরের একজন জমিদার। প্রজাদের প্রতি তার ছিল অসীম ভালবাসা, শুনেছি তিনি নাকি প্রজাদের খারাপ সময়ে খাজনা মওকুফ করেছিলেন একবার। 

যাহোক পুরা রাজবাড়ী ঘুরতে অনেক কিছুই দেখলাম। এখানে রাজমহলের পাশাপাশি/ছোট তরফ এবং বড় তরফের প্রসাদ/ফাঁসির মঞ্চ/কারাগারসহ অনেক কিছুই দেখলাম। তবে যা বুঝলাম, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে এখানে। উত্তরা গণভবন সঠিকভাবে দেখভাল করা হলেও এখানে তা করা হচ্ছেনা মোটেও!

রাজপ্রাসাদ
রাজপ্রাসাদ

নাটোর এসেছি কিন্তু বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা খাবনা তা কি করে হয়? চলে গেলাম কালী মন্দিরের পাশে দ্বারিখ ভান্ডারে। এটাই আদি এবং আসল কাঁচাগোল্লার দোকান। ৪৫০ টাকায় এক কেজি নিলাম বাসায় নিয়ে যাব বলে।

সন্ধ্যা নেমে এল বুঝি! প্ল্যান মাফিক এখন আমাদের যাবার কথা পুঠিয়া রাজবাড়ী। বিকেলের নাস্তা করে রওনা দিলামও বটে! কিন্তু পুঠিয়ায় তেমন কোন হোটেল না পেয়ে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ঘন্টাখানেকের মাঝে আমের শহর রাজশাহীতে পৌছুলাম আমরা। লক্ষীপুর বাজারে একটি হোটেলে উঠলাম রাতটা কাটাবো বলে। রাতের রাজশাহী কেমন তা দেখতে দেখতে একটু হাটলাম এবং অদুরের একটি র‍্যান্ডম হোটেলে বট দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। খারাপ বলবনা, ভালই লেগেছিল!

সকালে উঠে চলে গেলাম পদ্মার পাড়। মর্নিক ওয়াকটা আজ এখানেই করব, হাহা!

পদ্মার পাড়
পদ্মার পাড়

যাহোক বেশ ঘুরলাম আশেপাশে এবং অনেকখানি ক্লান্তই হয়ে গেলাম বলা চলে। নাস্তা সেরে নিয়ে চললাম বাংলাদেশের ৩য় প্রাচীনতম কলেজ ঘুরতে – রাজশাহী কলেজ!

রাজশাহী কলেজ
রাজশাহী কলেজ

কিন্তু গেটে গিয়ে দেখলাম করোনার প্রকোপের কারণে ঢুকতে দিচ্ছেনা সবাইকে। মাস্টার্সের ফর্ম পূরণের জন্য স্টুডেন্টদের অবশ্য ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। আমি সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বললাম আমারো ফর্ম পূরণ আজ। আমি নিজেও অবশ্য মাস্টার্সের ছাত্রই তবে এখানকার না। 😛

রাজশাহী কলেজের স্ট্রাকচার/ভবনের ডিজাইনসহ পুরো ক্যাম্পাসটা বেশ সুন্দর। এখন অব্দি এত সুন্দর কলেজ বোধহয় আর দেখিনি, প্রশংসা করার মতই! কিছুদুর পর পর মনীষীদের সুন্দর সুন্দর উদ্ধৃতি ঝুলায় দেয়া আছে। ভালই লাগছিল কলেজটা ঘুরতে!

এরপর চলে গেলাম বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর!!

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

আমি নিজেও জানতাম না যে, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বিস্তারিত জানতে বরেন্দ্র জাদুঘরের উইকিপিডিয়ায় দেখতে পারেন।

সবশেষে, হোটেলে চেক আউট করে ১ টার দিক চলে গেলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেশ কয়েকটি ছোট ভাই উষ্ণ আমন্ত্রণ জানালো এবং ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখাল।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ঘুরাঘুরি শেষে সবাই মিলে কাটাখালীতে চলে গেলাম কালাভুনা খেতে। এটা অনেক জনপ্রিয় এখানকার। খাবার স্বাদ বেশ ভাল ছিল, খিদাও যেমন লাগছে ভাই, প্রচুর খেয়েছি সেদিন!!

বিনোদপুরে ছোট ভাইয়ের রুমে গিয়ে একটু জিরিয়ে নিলাম। চা-আড্ডা দিতে দিতে রাত হয়ে গেল। প্ল্যান অনুযায়ী ১০ টার দিক নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম বাসে। এখান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে নাটোর। নাটোর থেকে কুড়িগ্রামের ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম সন্ধ্যায়। তবে ট্রেন ১ঘণ্টা বিলম্বে আসলো রাত ২ টার দিক। ট্রেনে ঘুমোতে ঘুমোতে অনেকখানি স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসলাম প্রাণের শহর কুড়িগ্রামে!

মিস হয়ে গেল পুঠিয়া রাজবাড়ী এবং বগুড়া শহর ভ্রমণ। একটা কথা কি জানেন? জীবনে সব কিছু পেতে নাই, আর সব কিছু ঘুরে শেষ করতে নাই। যাব হয়তো আরেকদিন এসব অপ্রাপ্তির অবসান ঘটাতে! 😛

ভ্রমণের সময়কালঃ জানুয়ারী ২১, ২০২২

The post নাটোর ও রাজশাহী ভ্রমণ অভিজ্ঞতা appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/natore-rajshahi-tour/feed/ 0
সময় ব্যবস্থাপনা এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় https://touhid.me/productivity-and-time-management/ https://touhid.me/productivity-and-time-management/#respond Fri, 17 Dec 2021 06:02:21 +0000 https://touhid.me/?p=1819 আমরা সবাই একদিনে ২৪ ঘণ্টা সময় পাই। তবে কতঘণ্টা সঠিকভাবে কাজে লাগাই বা অপচয় করি তা যদি নিজের কাছে জবাবদিহিতা করেন তবে নিজেই আঁতকে উঠবেন এতটুক আমি নিশ্চিত! চলুন কিছু বিষয়ে আলোচনা করা যাকঃ  সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমাদের প্রডাক্টিভিটিঃ আমাদের সারাদিনের একটা বড় সময় কাটে ফেইসবুকে। এটি চরমভাবে আমাদের এনার্জি লেভেল এবং প্রডাক্টিভিটি কমিয়ে ফেলে। ফোনের […]

The post সময় ব্যবস্থাপনা এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

আমরা সবাই একদিনে ২৪ ঘণ্টা সময় পাই। তবে কতঘণ্টা সঠিকভাবে কাজে লাগাই বা অপচয় করি তা যদি নিজের কাছে জবাবদিহিতা করেন তবে নিজেই আঁতকে উঠবেন এতটুক আমি নিশ্চিত! চলুন কিছু বিষয়ে আলোচনা করা যাকঃ

  •  সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমাদের প্রডাক্টিভিটিঃ আমাদের সারাদিনের একটা বড় সময় কাটে ফেইসবুকে। এটি চরমভাবে আমাদের এনার্জি লেভেল এবং প্রডাক্টিভিটি কমিয়ে ফেলে। ফোনের Digital Wellbeing এপ বা Your Hour এপটি প্লেস্টোর থেকে নামিয়ে নিন। নিজেই দেখুন কোন এপ প্রতিদিন কতক্ষণ ধরে ব্যবহার করছেন। একটু কাজ থেকে অবসর পেলেই আমরা ফেইসবুকে ঢু মারি, কিন্তু এই ঢু মারার রেশটা থেকে যায় অনেক্ষণ যা আমাদের কাজের সময়ও মনোযোগ কমিয়ে দেয়। ফেইসবুক অনেক কারণেই আমাদের ব্যবহার করতে হয় তবে তা যেন খুব বেশী পরিমাণে আমাদের ক্ষতি করতে না পারে সেটা ভাবাও প্রয়োজন। আমি নিজেও অজান্তেই এর এডিকশনের স্বীকার হয়েছি বহুবার যা আমাদের প্রডাক্টিভিটি লেভেলকে কমিয়েছে বেশ অনেক! ফেইসবুক ইউজটা খুব দরকার হলেও কিছু ইনিশিয়েটিভ নেয়া উচিৎ। আমি সাজেস্ট করব পিসিতে ব্রাউজ করার সময় News Feed Eradicator ক্রোম এক্সটেনশনটি ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ফেইসবুক নিউজফিডকে ব্লক করে দিবে যা বাঁচিয়ে দিতে পারে অনেক সময়! এছাড়া যদি চান ফেইসবুক বা যেকোন ওয়েবসাইট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে তবে Self Control ক্রোম এক্সটন ব্যবহার করতে পারেন। আর ফোনের ক্ষেত্রে ফেইসবুক এপ/মেসেঞ্জার আন ইন্সটল করাই বোধহয় ভাল সিদ্ধান্ত কেননা ফোনে এসব এপ ব্যবহার এবং সময় নষ্ট করাটা বেশ সহজ। বিশেষ প্রয়োজনে কষ্ট করে ব্রাউজার দিয়ে ফেইসবুক ইউজ করবেন।  😛 
  • ডেইলি প্ল্যানিংঃ পরের দিন কি করবেন তা আগের দিনই নির্ধারণ করে দেয়াটা উত্তম! আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রচুর এপ ইউজ করতাম যেমন গুগল কিপ/ মাইক্রোসফটের টু ডু লিস্ট ইত্যাদি। তবে সব কিছুর পর এখন মনে হয়েছে ফিজিক্যাল নোট/ডায়েরি ব্যবহারই উত্তম। নরমাল ডায়েরী ইউজ করতে পারেন তবে যদি একদম বেস্ট কোন কিছুর সাজেশন চান তবে আমি বলব ProPlanner কিনে নিতে। এটি আসলেই জোশ একটি প্ল্যানিং ডায়েরি যেখানে সাপ্তাহিক/দৈনিক এবং মাসিক প্রয়োরিটি/ফোকাস/টার্গেট ইত্যাদি লিখে রাখা এবং ট্রাক করা যায় সহজেই। আর আপনারা চাইলে Notion এপটি ইউজ করতে পারেন যদি ফিজিক্যাল ডায়েরি ব্যবহারে অনিচ্ছুক হন।
  • নিজের কাছে জবাবদিহিতাঃ আমাদের ভুল হবে তা থেকে শিক্ষা নিব এটাই স্বাভাবিক। তবে যখন নিজের কাছে নিজেই জবাবদিহিতা দিবনা তখন নিজের ভুলগুলোও বুঝতে পারবনা। দিনের একটি সময়ে অন্তত ১০ মিনিট নিজের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি ইদানীং এতে সুবিধা হয় নিজেকে প্রশ্ন করার/উত্তর নেয়ার এবং ভাল মন্দ বুঝার! আমি বেশ ফল পাচ্ছি এতে এবং আপনিও ট্রাই করতে পারেন। 
  • প্রক্রাস্টিনেশন এবং পার্ফেকশন নিয়ে আমার মতামতঃ  ‘Perfect” is the enemy of ”good” – একদম মোক্ষম সময়/সুযোগের জন্য অপেক্ষা না করে শুরু করে দেয়া উচিৎ যেকোন কাজের ক্ষেত্রে। আমার জীবনে আমি অনেক সময় নষ্ট করেছি এই পারফেক্ট সময়/সুযোগের অপেক্ষায়। কাজটি শুরু করে দেয়া উচিৎ দ্রুত, ভুল হবেই আর সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ইমপ্রুভ করতে হবে। ”You can’t edit a blank page” – প্রাকটিক্যালি যেকোন কাজ শুরু করলে এমনিতেই দেখা যায় নিজের ভুল বের করে শুধরে নেয়া সম্ভব কিন্তু কিছুই না করে থিওরিক্যাল চিন্তা ভাবনায় ডুবে থাকাটা আসলে প্রচণ্ড রকমের ভুল সিদ্ধান্ত। ”Procrastination” জিনিসটার মত বাজে জিনিস খুব কমই আছে। নরমালি একটা কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের কাছে ৭-১০ দিন সময় নিলে দেখা যায় আমি সেই পুরো সময়টাই কাজে লাগাই। অথচ প্রকৃতপক্ষে সেই কাজ ৪-৫ দিনের মাঝে করা সম্ভব। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই কাজগুলো একদম শেষের দিনই জমা দেই। নিজের কাজের জন্য নিজেই ডেডলাইন সেট করে দেয়াটা গুরুত্বপুর্ণ। 
  • Pomodoro Technique: এই টেকনিক এর মুল কথা হচ্ছে ২০ মিনিট কাজ করে ৫ মিনিটের একটি বিরতি নেয়া, তাতে করে কাজের প্রডাক্টিভিটি বাড়ানো। এটা সবার ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে যেমন স্টাডির ক্ষেত্রে তবে আমার ক্ষেত্রে বেশ কাজে লেগেছে। Pomodoro এপ/ক্রোম এক্সটেনশন রয়েছে, ফোন বা পিসিতে ট্রাই করে দেখতে পারেন। 
  • Pareto Principle & Three Seconds Rule:  ধরেন শুয়ে আছেন এবং একটি কাজ করতে চাচ্ছেন তবে কিছুটা গড়িমসি করতেছেন শুরু করার জন্য। এসব ক্ষেত্রে এই তিন সেকেন্ড রুল খুবই ইফেক্টিভ। মাথায় আসা মাত্র শুরু করে দিবেন তিন সেকেন্ডের মাঝেই। আর Pareto Principle বলতে বুঝায়ঃ যেকোন কাজের আউটপুট আসে সেটার ১০০ ভাগের ২০ ভাগ থেকে। ধরেন আপনার একটি দোকান আছে, সেখানের বেস্ট সেলিং আইটেম ১০০ টির মাঝে ২০ টি হবার সম্ভাবনাই থাকে। তেমনি কাজের ক্ষেত্রেও দেখা যায় অনেক কিছুই ট্রাই করতেছেন কিন্তু আপনার ইফোর্টের সেই ২০ ভাগই আপনাকে মুল সফলতা এনে দিচ্ছে। সেটা আইডেন্টিফাই করে সেই কার্যকর ইফোর্ট নিয়ে কাজ করলে সফলতা বৃদ্ধি পাবে অনেকাংশেই। 
  • ঘুম এবং কায়িক পরিশ্রমঃ মস্তিষ্ক ভাল কাজ করেনা যদিনা আপনার ভাল ঘুম না হয়। ঘুম অন্তত পক্ষে ৭ ঘণ্টা প্রয়োজন কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা সঠিক সময়ে ঘুমানোটা অতীব জরুরী। রাত ১০-১১ টার মাঝে ঘুমানো উত্তম কেননা এই সময় আমাদের মেলাটোনিন রিলিজ হয় যা ঘুমে আচ্ছন্ন করার একটি কেমিক্যাল। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে এটি নিঃসৃত হওয়া কমে যায়। এবং ফজরের ওয়াক্তে ঘুম উঠে পরাই শ্রেয়! সকালের সেশনটা বেশ প্রডাক্টিভ কাটানো যায় এই নিয়মে চললে। এটি অভ্যাসের ব্যাপার এবং আমি নিজেও নিয়মিত হতে পারিনি এখন অব্দি তবে চেষ্টা চালাচ্ছি! আর কায়িক শ্রম/রেগুলার হাটা চলা করলে ঘুম টাও ভাল হয়। পরিশ্রম করলে সেদিন ঘুমের মান বেশ ভাল হয় সেটা লক্ষ্য করলেই বুঝবেন।


The post সময় ব্যবস্থাপনা এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর উপায় appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/productivity-and-time-management/feed/ 0
ফ্রিল্যান্সিং কি এবং এটি আসলে কাদের জন্য! https://touhid.me/about-freelancing/ https://touhid.me/about-freelancing/#respond Thu, 28 Oct 2021 07:51:41 +0000 https://touhid.me/?p=1781 বর্তমান সমাজে অনেকেই মনে করেন যে, শুধু ইন্টারনেট থেকে আয় করাকেই হয়তো বলে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং শব্দের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে মুক্তপেশা। মুলত ইন্টারনেটভিত্তিক যারা প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ করেন তাদের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। আপনি অনলাইনে হোক বা অফলাইন যেখানে কাজ করুন না কেন, দক্ষতা অর্জন ব্যাতীত কেউ আপনাকে টাকা দিবেনা। একজন রাজমিস্ত্রির কথাই ধরা যাক, […]

The post ফ্রিল্যান্সিং কি এবং এটি আসলে কাদের জন্য! appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

বর্তমান সমাজে অনেকেই মনে করেন যে, শুধু ইন্টারনেট থেকে আয় করাকেই হয়তো বলে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং শব্দের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে মুক্তপেশা। মুলত ইন্টারনেটভিত্তিক যারা প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ করেন তাদের ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। আপনি অনলাইনে হোক বা অফলাইন যেখানে কাজ করুন না কেন, দক্ষতা অর্জন ব্যাতীত কেউ আপনাকে টাকা দিবেনা। একজন রাজমিস্ত্রির কথাই ধরা যাক, তার দক্ষতা হচ্ছে তিনি বাড়ি বানাতে পারেন। এই দক্ষতা দিয়েই তিনি কাজ করেন এবং দিনশেষে আপনি তাকে টাকা দেন তার বিনিময়ে।

ইন্টারনেটে কাজগুলোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। প্রথমত আপনাকে মার্কেটেবল একটা স্কিল অর্জন করতে হবে। যেটা হতে পারে গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং বা ওয়েবসাইট  ডিজাইন। প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই প্রচুর শাখা রয়েছে। ধরেন ডিজিটাল মার্কেটিং এ রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, কন্টেন্ট মার্কেটিং। আবার এসব সাব-ক্যাটেগরির ভিতরেও অনেক শাখা প্রশাখা রয়েছেঃ এসইও এর ভিতরেও রয়েছে অন-পেইজ এসইও/অফ পেইজ এসইও। 

আপনি একজন রাজমিস্ত্রি বা রং মিস্ত্রিকে যেমন পারিশ্রমিক দেন, ঠিক একই পারিশ্রমিক কি তার সাহায্যকারী কর্মীকে দেন? উত্তর হচ্ছে না। ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজেও তেমনি  কাজের ধরন অনুযায়ী পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়। অফলাইনের কাজের তুলনায় অনলাইনভিত্তিক কাজে প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক বেশী থাকে। কারণ খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি বিশ্বব্যাপী সকলের সাথে প্রতিযোগিতা করেই কাজ নিচ্ছেন। গ্লোবালি কাজ করছেন বিধায় পারিশ্রমিকটাও দেশের তুলনায় অনেকাংশে বেশী। 

 

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি লাগে এবং এটি আসলে কাদের জন্য? 

মুলত ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি কাজে দক্ষ হয়ে আপনার সেই অর্জিত দক্ষতা এবং শ্রম বিক্রয় করে আয় করার প্রসেসকেই আমরা মুলত ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সিং বুঝাই। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার না বলে আপনার পরিচয় মুলত গ্রাফিক ডিজাইনার বা ডিজিটার মার্কেটার কিংবা ওয়েব ডেভেলপার। এটা ব্যার্থদের যায়গা মনে করেন অনেকে! বাকি সব সেক্টরে ব্যার্থ এবং হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে আসেন এবং লোকের সংখ্যা নেহাতই কম না। কেউ বা আসেন শখ করে! কোনটাতেই আসলেই সমস্যা নাই, যেকেউ আসতে পারেন এই সেক্টরে কিন্তু কয়েকটি পুর্বশর্ত রয়েছেঃ

  • সময়ঃ ১৫ বছর+ পড়াশুনা করে বেশ কয়েকটি ডিগ্রী নিয়ে আমরা ১৫ হাজার টাকার চাকুরী যোগাতে হিমশিম খেয়ে যাই। তাহলে  এখানে এসে এত তাড়াহুড়া কেন শুরু হয়ে যায় আপনাদের আমি বুঝিনা! যদি এটাকে প্রফেশন হিসেবে নিতে চান তবে অবশ্যই যথেষ্ট সময় নিয়ে আসা উচিৎ। অন্তত কয়েক বছর সময় ব্যায় করার মানুষিকতা যদি না থাকে তবে আমি বলব এটা আপনার জন্য নয়! 
  • ইংরেজিঃ খুব স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিকেশন স্কিলটা ভাল হওয়া বাঞ্চনীয় এখানে। ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বার্তা থেকে শুরু করে প্রতিটা পদক্ষেপেই ইংরেজি লাগবেই এখানে। কিছু কিছু সেক্টরে যেমন গ্রাফিক্স/ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদিতে ইংরেজির ব্যবহার তুলনামুলক কম, তাই এসব কাজ করতে খুব একটা ইংরেজির ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন নেই। তবে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলতে/কাজ বুঝাতে সাধারণ ইংরেজি বুঝতে এবং লিখতে পারাটা আবশ্যক। অন্যদিকে, কন্টেন্ট রাইটিং/সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ইত্যাদি কাজের ক্ষেত্রে ইংরেজি বেশ প্রয়োজন। সুতরাং, এসব কাজ করতে গেলে ইংরেজি ভালভাবে শিখাটা আপনার জন্য আবশ্যক!
  • স্কিল/দক্ষতাঃ সবথেকে গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে এটি। আপনি দক্ষতা ব্যাতীত এই সেক্টরে ভাল কিছু করতে পারবেন না। কোন কাজটি  ভাল লাগে এবং প্যাশন আছে সেটি নির্বাচন করা উচিৎ। Fiverr বা Upwork মার্কেটিপ্লেসগুলো ভিজিট করুন এবং ক্যাটাগরি/সাব-ক্যাটাগরি গুলো লক্ষ্য করুন। Graphics/Digital Marketing/Video editing/Programming  সহ অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে এবং প্রতিটা ক্যাটাগরিতে প্রচুর সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে মানুষ কি ধরণের সার্ভিস দিয়ে আয় করতে তা লক্ষ্য করতে পারেন। এবং সেই টপিক গুলো নিয়ে গুগল/ইউটিউবের ফ্রি রিসার্চ করে একটা প্রাথমিক ধারণা নিতে পারবেন। স্মার্ট এনাফ হলে অনেক কিছু বুঝে যাওয়ার কথা ইতিমধ্যেই। যে কাজ করতে ইন্টারেস্ট ফিল করবেন সেটি শেখা শুরু করে দিতে পারেন। 
  • মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণাঃ কাজ শেখার পর সার্ভিস দিতে হবে আপনাকে মুলত মার্কেটপ্লেসে। Fiverr/upwork/freelancer এদের মাঝে যেটা ভাল লাগে সেখানেই আপনার সার্ভিস দেয়া শুরু করতে পারেন। আমার কাছে Fiverr বেশ ভাল লাগে, নতুনদের জন্য এটি সর্বোত্তম বলে আমার মনে হয়। যেখানেই সার্ভিস দেন না কেন, সেখানকার পদ্ধতি সম্পর্কে আগে ধারণা নেয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে শর্ট কাট মাধ্যম হচ্ছে উক্ত ওয়েবসাইটে আপনি কি সার্ভিস দিবেন সেটা সার্চ করা, এক্সিস্টিং ফ্রিল্যান্সাররা যেভাবে তাদের সার্ভিস গিগ সাজিয়েছে তা থেকে ইনস্পায়ার হয়ে নিজস্বভাবে আপনি নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। আমি যেসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করি তা নিয়ে আরো বিস্তারিত হয়তো লিখব সামনে। আপাতত এই ব্যাসিক ধারণাটুকু দিলাম।
  •  ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ধাপ সমূহ সংক্ষেপেঃ সেক্টর সিলেক্ট করতে হবে/সেই কাজ গুলো ইতিমধ্যে যারা সার্ভিস দিচ্ছে সেটা যাচাই করবেন তাহলে একটা ধারণা পাবেন। তারপর সেই সব টপিক গুলো নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখে বেসিক ধারণা নিবেন এবং অনুশীলন করবেন। রিলেটেড ফেইসবুক গ্রুপগুলোতে আপডেটেড থাকার ট্রাই করলে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আর অবশ্যই ছোট খাটো ইনফরমেশন কালেক্ট করার জন্য গুগল সার্চ করার অভ্যাস গড়ে তোলা। ইংরেজী যেহেতু বেশ দরকারী তাই  এটিও রপ্ত করে ফেলতে হবে স্কিল শেখার পাশাপাশি। আর কাজ করার সাথে সাথে স্কিল আরো ডেভেলপ করতে হবে কারণ মার্কেট অনেক কম্পিটিটিভ। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকাটা কিন্তু বাঞ্চনীয়। ফোন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব নাহ। প্রচুর ধৈর্য ও আগ্রহ নিয়ে চললে সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ। 
  • নতুনদের জন্য কিছু উপদেশঃ প্রথম অবস্থাতে কাজের দক্ষতা খুব স্বাভাবিকভাবেই কম থাকবে এবং কাজ পেতে সময় লাগবে। কারণ আপনাকে কম্পিট করতে হবে অপেক্ষাকৃত রেপুটেড ফ্রিল্যান্সারদের সাথে। ভাল ফিডব্যাক থাকবে তাদের প্রফাইলে, অপরদিকে আপনার প্রফাইল থাকবে ফিডব্যাক শুণ্য! ক্লায়েন্ট আপনাকে সিলেক্ট করবে এই জন্য যথেষ্ট ইফোর্ট দিতে হবে আপনাকে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে এবং অসাধারণ কমিউনিকেশন স্কিলের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে আপনি কেন যোগ্য এই কাজের জন্য। ওয়ার্ক স্যাম্পল/পোর্টফোলিও বানানো একটি ভাল দিক হতে পারে এক্ষেত্রে। কাজের ধরণ অনুযায়ী Dribble/Behance/Github/Flickr ইত্যাদি ওয়েবসাইটে আপনার কাজগুলো পোর্টফোলিও হিসেবে আপলোড করে রাখতে পারেন। যদি নিজস্ব একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট থাকে তবে সেটি বেস্ট হবে!! আর কাজ না শিখে কোনভাবেই মার্কেটপ্লেসে আসবেন না। আপনার প্রথম উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ স্কিল্ড হওয়া। এটি মাথায় রাখতে হবে। শুভকামনা সবার জন্য।

The post ফ্রিল্যান্সিং কি এবং এটি আসলে কাদের জন্য! appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/about-freelancing/feed/ 0
কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা https://touhid.me/cox-saint-martin-tour/ https://touhid.me/cox-saint-martin-tour/#respond Wed, 27 Oct 2021 09:04:33 +0000 https://touhid.me/?p=1706 আমার জেলা কুড়িগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দুরত্ব প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার। আর যদি টেকনাফের হিসেব করি তবে তা বেড়ে দাড়ায় ৮১০ কিলোমিটারের মত। কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি যাওয়ার উপায় নেই, যেতে হবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে! একবার ভাবলাম ঢাকায় গিয়ে তারপর সেখান থেকে কক্সবাজার যাব তবে তাতে সময় অতিরিক্ত লাগায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। এখন আমাদের যাত্রা পরিকল্পনা হচ্ছে কুড়িগ্রাম থেকে […]

The post কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

আমার জেলা কুড়িগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দুরত্ব প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার। আর যদি টেকনাফের হিসেব করি তবে তা বেড়ে দাড়ায় ৮১০ কিলোমিটারের মত। কুড়িগ্রাম থেকে সরাসরি যাওয়ার উপায় নেই, যেতে হবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে! একবার ভাবলাম ঢাকায় গিয়ে তারপর সেখান থেকে কক্সবাজার যাব তবে তাতে সময় অতিরিক্ত লাগায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। এখন আমাদের যাত্রা পরিকল্পনা হচ্ছে কুড়িগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম, তারপর সেখান থেকে কক্সবাজার। হানিফ বাসে টিকিট কেটে নিলাম। এছাড়াও পরিকল্পনামাফিক টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের টিকিট কেটে নিলাম অনলাইনে। ওপেন ডেকে টিকেট কাটবেন তাহলে যাত্রাকালীন ভাল ভিউ পাবেন। চাইলে রিটার্ন টিকেটও কেটে রাখতে পারেন।

কক্সবাজারের সুর্যাস্ত
কক্সবাজারের সুর্যাস্ত

পরিকল্পনা করার সময় আমাদের সাথে যাবার কথা ছিল প্রায় ১০ জনের মত, তবে শেষমেশ ৩ জন! আমি, আমার বন্ধু রাকিব এবং মেহেদী ভাইকে নিয়ে আমাদের  যাত্রা শুধু হয়  আমাদের বিকেল ৫ টায়। এই সময়টাতে অন্য রুটের গাড়ি চলাচল না করায় খুব একটা জ্যাম দেখা যায়না। এর মাঝে কয়েকটা ছোট যাত্রাবিরতি দেয়া হয়, কুমিল্লায় একটু বেশীক্ষণ দাঁড়ানো হয়েছিল বাসের চাকায় একটু সমস্যা থাকায়। যাহোক আল্লাহ্‌ রহমতে কোনরূপ সমস্যা ছাড়াই সকাল ৭ টার কিছু পরে বন্দরনগরী নামে খ্যাত চট্টগ্রামে পৌছাই আমরা। সেখানে ফ্রেশ হয়ে আগে নাস্তার পর্বটি সেরে নিয়ে কক্সবাজারের বাস খুঁজতে লাগলাম। একটু পর পেয়েও গেলাম। চট্টগ্রাম শহরটা কেন জানি আমি বেশ ভাল লেগেছে।  পাহাড়, সমুদ্র, উপত্যকা, বন-বনানীর কারণে চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম লীলাভূমি। ইচ্ছে হচ্ছিল এখানেই দু’একদিন থেকে যাই! আজ হচ্ছেনা তবে খুব ইচ্ছে আছে ইনশাআল্লাহ্‌ শুধুমাত্র চট্টগ্রাম ঘুরতেই হয়তো আসবো একবার!

সুগন্ধা সী-বীচ
সুগন্ধা সী-বীচ

দুপুরের মাঝে প্রায় ৭৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারে পৌছে যাই। বাস থেকে নামলেই দেখবেন অনেক রিক্সাওয়ালা আপনাকে হোটেলে নিয়ে যেতে চাইবে। তারা সম্ভবত কিছু কমিশন পায় এই কাজ করে। উত্তম হচ্ছে ডলফিন মোড় থেকে কিছুদুর সামনে গিয়ে নিজেই দরদাম করে পছন্দমত রুম নেয়া। ছুটির দিনগুলোতে চাপ বেশী থাকায় অতিরিক্ত হোটেল ভাড়া গুণতে হয়। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনি যদি সম্ভব হয় তবে ছুটির দিন পরিহার করুন। এক্ষেত্রে ভাড়া বাচানোর পাশাপাশি ভিড় এড়িয়ে জায়গাগুলো বেশ সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।

রাতের পরিবেশে সমুদ্র দর্শন
রাতের পরিবেশে সমুদ্র দর্শন

যাহোক আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর সৈকত আবাসিক রিসোর্ট নামের এক হোটেলে মোটামুটি মানের একটি রুম নেই। ফ্রেশ হয়ে গোসলের উদ্দেশ্যে রওনা হই সুগন্ধা সী-বীচ ভিউ পয়েন্টে। এর ফাকে অবশ্য দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। প্রথম সমুদ্র দেখা!! বুঝতে পারছেন কেমন লাগার কথা! ”ওয়ান্স ইন এ লাইফ টাইম এক্সপেরিয়েন্স” বলতে যা বুঝায় আর কি! পাহাড় আমার প্রিয় তবে সমুদ্রের বিশালতার কাছেও যে অনেক কিছু শেখার আছে  সেদিন কিছুটা হলেও বুঝেছি। গোসল এবং দাপাদাপি শেষ যেন হয়ই নাহ আমাদের। বেশ উত্তেজনায় ডুব দিতে গিয়ে আমার আলিএক্সপ্রেসে অর্ডার করা সানগ্লাসটা ভেসে যায় আর সাথে বোনাস হিসেবে একটু পানি খেয়ে ফেলছিলাম। সমুদ্রের পানি যে আসলেই লবণাক্ত সেটা পরীক্ষাও হয়ে গেলো আর কি।হেহে।

ছবিটা আমার অনেক প্রিয়!
ছবিটা আমার অনেক প্রিয়!

হোটেলে এসে পোশাক পরিবর্তন করে আশেপাশে ঘুরাঘুরি করি কিচ্ছুক্ষণ। তারপর আবারো চলে যাই সমুদ্রতীরে। ততক্ষণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত হয়ে গেছে। রাতের বেলায় সাগরের গর্জন, চাঁদের আলো, মৃদু হাওয়া সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা পরিস্থিতি! ঠিক এই সময়েই মেহেদী ভাইয়ের ফোনে একটা মেসেজ এসেছে যে তার প্রাইমারী চাকুরীটা হয়ে গেছে! তিনি তো আনন্দে আত্মহারা, সাথে খুশি আমরাও। ভাই নিজ দায়িত্ব আমাদের ট্রিট দিয়েছেন অবশ্য। 😀

মেহেদী ভাইয়ের ট্রিট
মেহেদী ভাইয়ের চাকুরীর  ট্রিট

পরদিন উদ্দেশ্য হচ্ছে মহেশখালী। সময়মত ঘুম থেকে উঠে হাল্কা নাস্তা সেরেই রওনা দেই রিক্সা চেপে। ৬নং জেটি (ঘাট) এ আসার পর স্পিডবোট ভাড়া নিয়ে যাত্রা শুরু করে দেই আমাদের গন্তব্যের দিকে। বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর থেকে এই জায়গার নামকরণ করা হয়। এখানে মৈনাক পর্বতের উপর আছে আদিনাথ মন্দির। আরো আছে স্বর্ণ মন্দিরসহ আমার নাম না জানা বেশ কয়েকটি মন্দির। মহেশখালীতে এসে রিক্সা নেন আর যাই নেন, একটু দর কষাকষি করবেন অবশ্যই। বেশ বাড়িয়ে দাম চায়। আর আমার কাছে আদিনাথ মন্দিরটাই দেখার মত লেগেছে। বাকিগুলোও খারাপ নাহ যদিও।

মেহশখালী
মহেশখালী 

মহেশখালী ঘুরে কক্সবাজারে এসে বীচে গিয়ে আরেকটু ঢু মেরে সামুদ্রিক মাছ আর রাতের খাবার সেরে পরের দিনের পরিকল্পনা করি। পরদিন সকালে উঠেই সিএনজিতে চেপে রওনা দেই টেকনাফের উদ্দেশ্যে। সেন্ট মার্টিনের জাহাজ ছাড়বে ঠিক ৯ঃ৩০ মিনিটে তাই  খুব সকালেই যাত্রা শুরু করতে হয়। মেরিন ড্রাইভের এক দিকে সাগর অন্যদিকে পাহাড়, এমন সব অসাধারণ দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা পৌছে যাই টেকনাফ। সেখানে নাস্তা সেরে জাহাজে উঠে যাই। অনলাইনে টিকেট কাটা থাকায় ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

নাফ নদী, আমি ও গাঙচিল
নাফ নদী, আমি ও গাঙচিল

জাহাজ ছাড়ার পর গাঙ্গচিলগুলো উড়ে আসার দৃশ্য সত্যিই অনেক বেশীই ভাল লাগায়। চিপস ছুড়ে দিলে একটাও মিস করেনা তারা। হাহা। নাফ নদী, তার ওপারে মিয়ানমার সীমান্তের সৌন্দর্য এবং বঙ্গোপসাগরের জলরাশি তথা বিশালতা দেখতে দেখতে পৌছে যাই  সেন্টমার্টিন। ভিড় বেশী থাকায় হোটেলের ভাড়াও বেশ চড়া! যাহোক একটি রুম ঠিক করলাম আর ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসলাম ঘুরতে।দুপুরের খাবার শেষ করে সাইকেল ভাড়া নিয়ে রওনা দিলাম ছেড়াদ্বীপের উদ্দেশ্যে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাওয়া যায় তবে আমাদের কাছে সাইকেলে যাওয়াটাই উত্তম মনে হয়েছিল। সাগরের পাশে সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌছে গেলাম ছেড়াদ্বীপে। সেন্টমার্টিন পুরো যায়গাটাই অস্বাভাবিক রকমের সুন্দর আর ছেড়াদ্বীপে সেই সৌন্দর্য বোধহয় ঈষৎ পরিমাণে হলেও কিছুটা বেশী। কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরাঘুরি এবং বিশ্রাম নিয়ে ফিরে আসলাম সেখান থেকে।

প্রবাল দ্বীপে আমি :P
প্রবাল দ্বীপে প্রবাল ও আমি 😛

ফিরে এসে একটু বিশ্রাম নিয়ে গেলাম হুমায়ুন আহমেদের বাড়ি সমুদ্রবিলাস দেখতে। এরপর সমুদ্রের পাড়ে বসে শুয়ে রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। সমুদ্রের গর্জনের মাঝেও কেমন যেন একটা নীরবতা আছে বলে আমার মনে হয়। এটা বেশ উপভোগ্য বটে! এরপর রাতের খাবার খেয়ে ফিরে এলাম হোটেলে।

ছেড়াদ্বীপ
ছেড়াদ্বীপ

পরদিন সকালে একটু বৃষ্টি হওয়ায় ঘুমটা একটু বেশীই হয়েছে। একটু দেরীতে উঠে সিদ্ধান্ত নিলাম হেটে বেড়াব পুরো সেন্টমার্টিন। সাগরের পাড়ে হাটতে হাটতে মোটামুটি পুরো সেন্টমার্টিন শেষই করে ফেলছি বলা যায়। আগের দিন সাইকেল চালিয়ে অর্ধেক তো শেষ করেছিলাম, আজ বাকি অর্ধেক। এমনিতে খুব বেশী বড় না আসলে এই একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি। ঘড়িতে তখন সম্ভবত ১১ টা ছুই ছুই, আমাদের জাহাজ ধরতে হবে ৩ টায়। তার আগে গোসল/খাওয়ার পর্বও তো শেষ করতে হবে! হোটেলে ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে বেশ খুশিমনে এবং অনেকখানি স্মৃতি নিয়ে সেন্টমার্টিনকে বিদায় জানালাম। জাহাজ টেকনাফে এসে পৌছালো ৬ টার পরেই। এরপর বাসে চেপে ঢাকায় আসতে ভোর হয়ে গেল।

সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য
সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য

ঢাকায় এসে নাস্তার পর্ব সেরে সোজা গেলাম কমলাপুর রেল স্টেশন। কুড়িগ্রামগামী ট্রেনের টিকিট কেটে নিলাম। এবার ফেরার পালা! প্রথম সমুদ্রভ্রমণের অনেকগুলো সুখস্মৃতি নিয়ে  রাতে পৌছালাম প্রিয় জেলা কুড়িগ্রামে।

রংপুর এক্সপ্রেসে চেপে বাড়ি ফেরা
রংপুর এক্সপ্রেসে চেপে বাড়ি ফেরা

ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯

The post কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/cox-saint-martin-tour/feed/ 0
সিলেট ও কিশোরগঞ্জ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা (বাইক ট্যুর) https://touhid.me/sylhet-kishorganj-bike-tour/ https://touhid.me/sylhet-kishorganj-bike-tour/#respond Mon, 04 Oct 2021 09:33:50 +0000 https://touhid.me/?p=1619 প্রথম দিনঃ আমাদের বাইক ট্যুর শুরু হয় কুড়িগ্রাম থেকে। খুব সকালে উঠে হাল্কা নাস্তা করেই রওনা দেই মোগলবাসা ঘাটের উদ্দেশ্যে। নৌকা ৯টার দিক ছাড়ার কথা থাকলেও কোন কারণে ১০ টা বেজে যায়। মোগলবাসা ঘাট থেকে নৌকাযোগে রৌমারিতে পৌছাই প্রায় ১ টায়। এরপর রৌমারী থেকে শেরপুর – জামালপুর হয়েই যেতে হয় মুলত। আর এই অঞ্চলেই রয়েছে […]

The post সিলেট ও কিশোরগঞ্জ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা (বাইক ট্যুর) appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

প্রথম দিনঃ আমাদের বাইক ট্যুর শুরু হয় কুড়িগ্রাম থেকে। খুব সকালে উঠে হাল্কা নাস্তা করেই রওনা দেই মোগলবাসা ঘাটের উদ্দেশ্যে। নৌকা ৯টার দিক ছাড়ার কথা থাকলেও কোন কারণে ১০ টা বেজে যায়। মোগলবাসা ঘাট থেকে নৌকাযোগে রৌমারিতে পৌছাই প্রায় ১ টায়। এরপর রৌমারী থেকে শেরপুর – জামালপুর হয়েই যেতে হয় মুলত। আর এই অঞ্চলেই রয়েছে টুরিস্ট স্পট লাউচাপড়া, মধুটিলা এবং গজনী। এখন আবার নতুন সংযোজন হয়েছে তাওয়াকুচা মায়াবী লেক! মায়াবী লেক ব্যাতীত বাকি সব যায়গাই আগে এসেছিলাম আমরা। সেহেতু তেমন কোন বিরতি ছাড়াই আমরা এসব স্পট পার হয়ে ময়মনসিংহের দিকে রওনা হই।

রৌমারি থেকে শেরপুরের রাস্তা খুব একটা ভাল বলা যাবেনা তাই বাইক স্মুথলি চালানো যাচ্ছিলোনা। তবে শেরপুরের পরের রাস্তাগুলো অসাধারণ! রাত হয়ে যাওয়ায় আমরা সেদিনের মত ময়ময়সিংহ শহরের নিরালা রেস্ট হাউজে উঠি। হোটেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা বাইক পার্কিং এবং সিকিউরিটিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। খুব দেরী না করে পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমায় যাই।

দ্বিতীয় দিনঃ খুব ভোরে উঠেই দেখি বৃষ্টি হচ্ছে! মন্থর গতিতে যাত্রা শুরু করে দেই। কিছুটা দেরি হলেও ধীর-স্থিরভাবেই নেত্রকোণা পৌছে যাই। সেখানে নির্মানাধীন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটু ঢু মেরে সুনামগঞ্জের দিকে যেতে থাকি। সিলেট যাওয়ার রাস্তা মুলত দুটি। একটি সরাসরি সিলেট অন্যটি সুনামগঞ্জ হয়ে। ১০০ কিলো কম দুরত্ব দেখে আমরা সুনামগঞ্জের ম্যাপে অনুরসরণ করে। আমরা গুগল ম্যাপ দেখে আগাতে থাকি তবে বিপত্তি বাজে সুনামগঞ্জ পৌছানোর পর! এক যায়গায় গিয়ে দেখি সামনে আর রাস্তা নেই, যদিও গুগল ম্যাপে রাস্তা রয়েছে!! পরে জানতে পারি এটা তো হাওড় অঞ্চল, বর্ষাকালে এই রাস্তাগুলো ডুবে যায়। আমাদের শিক্ষা হয়ে যায় যে অন্ধভাবে কখনই গুগল ম্যাপ অনুসরণ করা উচিৎ না। হাহা!

এই সেই গুগলের দেখানো রাস্তা। 😀

যাহোক, আমরা নৌকায় বাইক উঠিয়ে অনেক ঝামেলা পোহানোর পর সেসব যায়গা অতিক্রম করে এক সময় সিলেট হাইওয়েতে উঠি। বিকেল নাগাদ অবশেষে সিলেট শহরে পৌছাই। সিলেট অনেক সুন্দর তবে কেন জানি মনে হল সিলেট শহরের রাস্তা সিএনজির দখলে রয়েছে। শহরে ঢুকতে কিছুটা জ্যামে পরতে হয়েছে। সিলেটে বিখ্যাত হোটেল হচ্ছে পাচভাই এবং পানসী। তবে এটা আমরা জানতে পারি আমাদের ট্রিপ শেষ! না জানা থাকায় র‍্যান্ডম একটি হোটেলে আমাদের দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। এবং সিলেটের মানুষের ব্যাবহার অনেক ভাল লেগেছে আমাদের।

সিলেট শহর

খাওয়া সেরেই বন্দরবাজারের দিক রওনা হয়ে হোটেল তাজমহলে একটি রুমের ব্যাবস্থা করি আমরা। বাইকের সিকিউরিটি নিয়ে কনসার্ন থাকায় আমরা বাজেট ফ্রেন্ডলি কিন্তু অপেক্ষাকৃত ভাল মানের হোটেলেই উঠি। রাতে শহরের বাজারে একটু ঘুরে বাকি ট্যুরমেটদের জন্য রেইনকোট নিয়ে নেই যাতে বাকি সময়ে বৃষ্টি আমাদের সমস্যা না করতে পারে। আজকে আর কোন ঘুরাঘুরি না, অনেক প্যারা গেছে তাই এখন দরকার বিশ্রাম।

প্রথম গন্তব্যস্থল – জাফলং

তৃতীয় দিনঃ আজকে কাভার করব জাফলং এবং বিছানাকান্দি। প্রথম গন্তব্য হিসেবে নির্বাচিত করি আমরা জাফলং। সকালে নাস্তা খেয়েই দ্রুত রওনা দেই। দুপুরের আগেই আমরা সেখানে পৌছে যাই। তবে খুব আফসোস লাগে কিছু দুরের ঐ পাহাড়গুলো দেখে। সবগুলোই ভারতের দখলে! আমাদের বলতে কিছুই নাই বোধহয়। তবে রাস্তাগুলো অনেক বেশীই জোস!

পিছনের ভারতের ঐ পাহাড়গুলো দেখলে হিংসেই হয় বলতে পারেন!

জাফলং -এ আমার সব থেকে বেশী ভাল লেগেছে মায়াবী ঝর্ণা। এটাই মুলত আমার প্রথম ঝর্ণা দেখা তাই এক্সাইটমেন্ট অনেক বেশীই ছিল। তবে অতিরিক্ত এক্সাইটমেন্টে ঝর্ণার উপরের দিকে কেউ উঠতে যাবেন না। পাথরগুলো মুলত অনেক পিচ্ছিল থাকে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করা বাঞ্চনীয়। জাফলং এবং মায়াবী ঝর্ণায় ভাল একটা সময় কাটানোর পর আমরা বিছানাকান্দির দিকে রওনা হই।

মায়াবী ঝর্ণা

বিছানাকান্দিতে যেতে হয় নৌকাযোগে। নির্দিষ্ট যায়গা থেকে বেশ দারকষে একটি নৌকা ঠিক করে ফেলি আমরা। তার আগে সেখানকার একটি হোটেলে হাসের মাংস দিয়ে ভাল খেয়ে নেই পেট ভরে। খাবারের দামও বেশ কম ছিল। যাহোক বিছানাকান্দিতে এসে আশে পাশের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট হয়েছি। তবে সামনের পাহাড়ের কাছেই ভারতের বর্ডার থাকায় খুব বেশী ভিতরে যেতে দেয়না। তবে এখান থেকে অসাধারণ ভিউ পাওয়া যায় যা মনের খোরক মেটাতে যথেষ্ট! বেশ অনেকখানি সময় কাটিয়ে আমরা পুনরায় সিলেটে আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এদিন আর তেমন কোন প্ল্যান নেই।

বিছানাকান্দি

চতুর্থ দিনঃ আজকের প্ল্যান হচ্ছে রাতারগু, শাহজালালের মাজার এবং SUST ক্যাম্পাস ঘুরা। প্রথমেই রাতারগুলে উদ্দেশ্যে রওনা দেই সকালের নাস্তা সেরেই। বাইক থাকায় সবগুলোতেই জার্নি অনেকটা ফ্লেক্সিবেলভাবেই হচ্ছিল। কোথাও দেরি হলেও সমস্যা নাই আবার চাইলে তাড়াতাড়িও যেতে পারি ইচ্ছেমত। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের ভিতরে দিকের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নৌকায় করে যেতে অসাধারণ একটি অনুভুতি হচ্ছিল। বর্ষাকাল ব্যাতীত এই যায়গায় পানি থাকেনা এবং এখানেই পানিই আসলে সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। মুল আকর্ষণ এখানকার ওয়াচ টাওয়ার, সেখান থেকে পুরো এরিয়ার একটি অসাধারণ ভিউ পাওয়া যায়।

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট

রাতারগুল থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে এবং দুপুরের খাবার খেয়ে রওনা হই শাহজালালের মাজারে দিক। অনেক মানুষ এখানে মানত করতে আসে, টাকা দান করে। একটি বড় কলসের মত পাত্রে মানুষ প্রচুর দান করতেছে দেখলাম, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম কেন দিচ্ছেন? বলে সবাই দেয় তাই আমরাও দেই! আল্লাহ্‌ ব্যাতীত কেউ আপনার মনের ইচ্ছে পুরণ করতে পারবেনা অলৌকিকভাবে। এগুলো শিরকের পর্যায়ে যায়। রীতিমত মাজার কেন্দ্রিক ব্যাবসা গড়ে উঠেছে বলেই মনে হল।

রাতারগুল ওয়াচ টাওয়ার থেকে

এরপর SUST ক্যাম্পাসে গিয়েছি তবে ভিতরে ঢুকতে পারিনি কোভিড রেস্ট্রিকশনের কারণে!! সাত রং-এর চা খেতে ইচ্ছে হচ্ছিল তাই সময় থাকায় গেলাম চা খেতে। আহামরি ভাল লাগেনি তবুও চা প্রেমী হিসেবে টেস্ট করাই যায়, লসের কিছুনাই। হাহা। অতঃপর বাইরে আড্ডা দিয়ে সেদিনের মত সিলেট ট্যুরের পরিসমাপ্তি ঘটে!! এর মাঝে অবশ্য সিলেট স্টেডিয়ামেও গিয়েছিলাম সেদিন।

সাত রং- এর চা

পঞ্চম দিনঃ খুব সকালে উঠেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই তবে ট্যুরমেটদের সাজেশনের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ পথিমধ্যে হওয়ায় নিকলি হাওড়ে ঢু মেরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই আমরা। হাইওয়ে ধরে কিশোরগঞ্জ পৌছাতে আমাদের প্রায় দুপুর বেজে যায় এবং খাবার পর্ব সেরে বাইক পার্ক করে নৌকাযোগে নিকলির উদ্দেশ্যে রওনা হই। খুব গরম ছিল তবে নিকলি পৌছানোর আগ মুহুর্তে শান্তির বৃষ্টি নামে, তবে খুব বেশীক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

হাওড়ের বুকে

বৃষ্টির কারণে নিকলি হাওড়ের বুকে রংধনু দেখার সৌভাগ্য হয়। হাওড়ের মাঝে এই রাস্তায় যাওয়ার সময় কেমন যেন এক স্বর্গীয় এক অনুভূতি হচ্ছিল। বেশ এনজয়াবল ছিল সময়টা। অষ্টগ্রাম/মিঠামইন/রাস্ট্রপতি হামিদ সাহেবের বাসায় ঢু মেরে নৌকাযোগে সুর্যাস্ত দেখতে দেখতে পাড়ে ফিরতে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। রাত হয়ে যাওয়ায় আমরা কিশোরগঞ্জ শহরে একটি হোটেলে অবস্থান নেই। হোটেলটি বেশ এফোর্ডেবল ছিল এবং সব ধরণের সুযোগ সুবিধা ছিল।

ছবিটা ভালই এসেছে তাই এটিও যোগ করে দিলাম। 😛

ষষ্ঠ দিনঃ বাড়ি ফিরার দিন! খুব ভোরে উঠেই রওনা দেই আমরা বাসার উদ্দেশ্যে। দুপুরের নৌকা ধরতে হবে রৌমারিতে সেই উদ্দেশ্যে বেশ দ্রুত আসার চেষ্টা করি তেমন কোন বিশ্রাম না নিয়েই। তবে তাড়াহুড়া করতে আমাদের একটি ব্যাগ বাইক থেকে পরে যায়, মুলত রাস্তা খারাপ হওয়ায় ঝাকি খেয়ে। সেখানে দুইটা রেইনকোট, স্যান্ডেলসহ কিছু জিনিস ছিল। যাহোক দুঃখ করে লাভ নেই, আমরা বেশ অন-টাইমেই পৌছাতে সক্ষম হই। তবে পথিমধ্যে ট্যুরমেট মেহেদী ভাই বৃষ্টিতে ভিজে যান একদম বাজেভাবে। নৌকায় চেপে মোগলবাসা ঘাটের দিকে যেতে থাকি। উজানে নৌকা যেতে বেশ সময় লাগে, অনেক দেরীতে অবশেষে প্রায় বিকেল ৪ টা আমরা ঘাটে পৌছাই এবং ৬দিনের ১ হাজার কিলোমিটার বাইক রাইড তথা ট্যুরের সফলভাবে পরিসমাপ্তি ঘটে। খুব প্রি-প্লান্ড ট্যুর না হওয়া সত্ত্বেও বেশ উপভোগ্য ছিল পুরো সময়টা এবং সব ঠিকঠাকভাবেই হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ।

**ভ্রমণের ব্যাপ্তিকালঃ আগস্ট ২১ – ২৬, ২০২০

The post সিলেট ও কিশোরগঞ্জ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা (বাইক ট্যুর) appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/sylhet-kishorganj-bike-tour/feed/ 0
দিনাজপুর বাইক ট্যুরের অভিজ্ঞতা https://touhid.me/dinajpur-bike-tour/ https://touhid.me/dinajpur-bike-tour/#respond Fri, 05 Mar 2021 14:10:43 +0000 https://touhid.me/?p=1857 ছোটবেলায় কোচিং থেকে যেসব পিকনিকে যেতাম তার মাঝে অন্যতম স্থান ছিল দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী। তবে দিনাজপুরের বাকি যেসব দর্শনীয় কিছু স্থান রয়েছে সেগুলোতে সেভাবে যাওয়া হয়ে উঠে নি। এবার তাই সিদ্ধান্ত নিলাম দিনাজপুরের অলি গলিতে একটু ঢু মেরে আসব বাইকে চেপে, এবং সেটা একদিনেই! আমিসহ মোট ৪জন মিলে বাইকযোগে সকাল ৭ টার কাছাকাছি সময়ে যাত্রা শুরু […]

The post দিনাজপুর বাইক ট্যুরের অভিজ্ঞতা appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>

ছোটবেলায় কোচিং থেকে যেসব পিকনিকে যেতাম তার মাঝে অন্যতম স্থান ছিল দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী। তবে দিনাজপুরের বাকি যেসব দর্শনীয় কিছু স্থান রয়েছে সেগুলোতে সেভাবে যাওয়া হয়ে উঠে নি। এবার তাই সিদ্ধান্ত নিলাম দিনাজপুরের অলি গলিতে একটু ঢু মেরে আসব বাইকে চেপে, এবং সেটা একদিনেই!

আমিসহ মোট ৪জন মিলে বাইকযোগে সকাল ৭ টার কাছাকাছি সময়ে যাত্রা শুরু করলাম। প্রায় ৮ টার দিক রংপুরে পৌছে বৈশাখী হোটেলে নাস্তার পর্বটি সেরে নিলাম। এই হোটেলের চা কিন্তু আমার জোশ লাগে! আর খিচুড়িটাও বেশ ছিল, খেয়েছিলাম আমার প্রিয় কলিজাভুনা দিয়ে।  যাহোক এরপর পুনরায় দিনাজপুর অভিমুখে রওনা দিলাম। তারাগঞ্জ ক্রস করতেই হাতের বায়ে লক্ষ্য করলাম ”I Love Rangpur” লিখা একটি ফলক, এটি তারাগঞ্জ ইকোপার্ক খুব সম্ভবত। যায়গাটা ভালই লাগলো তাই কিছুক্ষণের একটা ব্রেক নিয়েই নিলাম। বাইক ট্যুরের এই এক সুবিধা/ফ্লেক্সিবিলিটি আছে বলতে পারেন! যখন ইচ্ছে হলো, টুপ করে একটু থেমে বিশ্রাম বা আশেপাশের যায়গায় ঢু মেরে নিতে পারবেন! 

দশটার দিক আমরা দিনাজপুর পৌছুই। এরপর প্রথমেই কান্তজিউ মন্দির দেখতে যাই। ঢেপা নামক একটি নদী পেরিয়ে কান্তনগর গ্রামে এই প্রাচীন স্থাপত্যটি  অবস্থিত।  কান্তনগর বা  নবরত্ম মন্দির নামেও এটি সুপরিচিত। শিলালিপি অনুযায়ী তৎকালীন জমিদার প্রাণনাথ রায় এটি তৈরী করেন। মন্দিরের সবথেকে মুগ্ধ করবে দেয়ালের টেরাকোটাগুলো। অসাধারণ লেগেছে আমার!! উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে প্রায় ১৫ হাজার টেরাকোটা রয়েছে এখানে। ধর্মীয় উপাসনালয় হওয়ায় উপরে উঠতে দেয়া হয়না আর আমার মনে হয় ঘুরতে গেলে উপরে উঠাও উচিৎ হবেনা কারো। 

এরপর এই কান্তজিউ মন্দিরের আশেপাশেই অবস্থিত কান্তনগর প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘরেও একটু ঢু মেরেছিলাম। ভিতরে বেশ ভালই পুরোনো জিনিসপত্র রয়েছে। তবে ছবি তোলা নিষেধ থাকায় ভিতরে ছবি তুলতে পারিনি। ১০-২০ টাকার টিকিট কেটে ঢুকলে লস হবেনা এতটুক বলতে পারি। 

এরপর সোজা চলে যাই কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত নয়াবাদ মসজিদে। প্রায় ৪২৯ বছর আগে ১৭৯৩ সাথে এটি তৈরী করা হয়। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি চারটি মিনার আছে। তবে প্রতিষ্টাকালে যে সুন্দর পোড়ামাটির কাজগুলো ছিল তা রেনোভেশনের পর তা খুব একটা নেই। হয়তো রক্ষণাবেক্ষণের অভাব!!

পরের ডেস্টিনেশন হচ্ছে দিনাজপুরের রাজবাড়ী। কিছু লিচুবাগান চোখে পড়ল, সময়টা গ্রীষ্মকাল হলে মন্দ হতনা! লিচু খাওয়া হয়ে যেত ট্যুরের সাথে সাথে! যাহোক হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চা খেতে খেতে বাকি দিনের ট্যুর প্লান কিছুটা হলেও করে ফেললাম ম্যাপ দেখে। অতঃপর জুম্মার নামাজ সেরে নিলাম পথিমধ্যেই। আর খিদা লাগায় মিলাদের তবারকটা মিস করলাম নাহ। হেহে। এটা আমার ভাল্লাগে। সেই ছোট বেলায় এই জুম্মার দিন এলে কলার পাতায় করে পায়েস দেয়া হত (ছিন্নি বলতাম আর কি)। এটা বেশ মিস করি এখন!

রাজবাড়ী পৌছে বেশ হতাশই হলাম বলতে পারেন। রেনোভেট করে সুন্দর করছে কিছুটা কিন্তু কেন যেন পুরাকীর্তির ফিলটা পাইলাম নাহ।

এরপর পাশেই অবস্থিত সুখসাগরে একটু সুখের খোঁজে গেলাম। হেহে! খারাপ নাহ। জিরিয়ে নেয়ার জন্য ভাল একটি যায়গা। কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করে চললাম রামসাগরের দিক! ভাবলাম এটাও নাহয় কাভার দেই!  এটি কিন্তু বাংলাদেশের সব থেকে বড় মানবসৃষ্ট দিঘী। ভিতরে একটা ছোট্ট চিড়িয়াখানাও আছে, সেখানে অজগরের দেখাও মিলবে, সাথে আছে বানর/হনুমান/হরিণ এসবই আর কি! 

প্রায় বিকেল হয়ে যাচ্ছে, খিদা তো ভালই লেগে গেছে। আশে পাশে ভাল হোটেল খুঁজতে বেশ সময় লাগিয়ে ফেললাম। এরপর মোটামুটি মানের একটি হোটেলে বসে দুপুরের খাবারটি খেয়ে নিলাম। অসাধারণ ছিল খাবারগুলোর কোয়ালিটি, আর বিলও বেশ কম এসেছিল কেন জানি! পুরাই তৃপ্তিসহকারে খেয়ে একদম পেট ভরায় ফেলছিলাম। 😀

বিরলে অবস্থিত চঞ্চল রিসোর্ট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা শেষ ডেস্টিনেশন হিসেবে! বেশ দুরেই অবস্থিত ছিল তবুও গেলাম। আহামরি তেমন কিছু না থাকলেও ওভারল ভালই লাগলো বলতে পারেন। কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর সুর্যাস্তের ঠিক কাছাকাছি সময়ে আমরা কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এবং আল্লাহ রহমতে ভালভাবেই কুড়িগ্রাম পৌছে যাই গভীর রাত হওয়ার আগেই। 

শুক্রবার, মার্চ ৫, ২০২১ 



The post দিনাজপুর বাইক ট্যুরের অভিজ্ঞতা appeared first on S M Touhidul Islam | Digital Marketing Strategist.

]]>
https://touhid.me/dinajpur-bike-tour/feed/ 0